এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জেহাদি দমন অভিযানে বাংলাদেশের আল কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা আনসারুল্লা বাংলা টিম বা এবিটি-র সদস্য আরও ২ জঙ্গিকে ধরল অসম পুলিশের এসটিএফ। খোঁজ মিলল অস্ত্র প্রশিক্ষণের ঘাঁটিরও।
বিশেষ ডিজিপি হরমিত সিংহ এ দিন জানান, ‘অপারেশন প্রঘাত’-এর অধীনে এবিটি-র নতুন মডিউলের অংশ হিসেবে কোকরাঝাড়ের জয়পুর নমোপাড়া থেকে ধরা পড়েছে শেখ আব্দুল জ়াহের ও রামফলবিল থেকে ধরা পড়ে সাব্বির মির্ধা। আব্দুলকে জেরা করে কোকরাঝাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে একে-৪৭-এর আদলে তৈরি ৪টি রাইফেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩৪ রাউন্ড গুলি, একজোড়া তাজা আইইডি ও আইইডি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ডিটোনেটর সার্কিট, ১৪টি সুইচ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম। হরমিত জানান, অতীতেও কোকরাঝাড় থেকে এমন অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার হয়েছিল। সেগুলিও জেহাদিদের কি না এবং তার উৎস কোথায়, সেই সব জানতে তদন্ত চলছে। এই নিয়ে এবিটি-র অসম-বাংলা মডিউলে মোট ১০ জনকে ধরা হল। এদের মধ্যে ৭ জন অসমে, ২ জন বাংলায় ও বাংলাদেশের নাগরিক শাব শেখকে কেরলে গ্রেফতার হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এ দিনই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আর্থিক সঙ্কটই অনুপ্রবেশ বৃদ্ধির কারণ।”