হিজ়বুল্লার রকেট হামলা। ছবি: রয়টার্স।
লেবাননের মাটি থেকে আবার ইজ়রায়েলি সেনাঘাঁটি নিশানা করে রকেট হামলা চালাল ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লা গোষ্ঠী। রবিবার থেকে তারা ইজ়রায়েলকে নিশানা করে ধারাবাহিক ভাবে ৬০টি ‘কাতুসা’ রকেট ছুড়ে চলেছে বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি। তবে ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ রকেটকেই ধ্বংস করে দেয় বলে তেল আভিভের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় অবিলম্বে আমেরিকার নাগরিকদের লেনানন ছাড়ার বার্তা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরেই স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠনটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল হিজ়বুল্লা। উপস্থিতি জানান দিতে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালানো হয়েছিল সে সময়। তার পর থেকেই দু’তরফের লড়াই চলছে। ফুয়াদ সুকরে, মহম্মদ নামেহ নাসের, তালেব সামি আবদুল্লার মতো হিজবুল্লার শীর্ষ স্তরের কমান্ডাররা ইজ়রায়েলি হানায় নিহত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিশোধ নিতেই হিজ়বুল্লা বাহিনী মরিয়া হামলা শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, হিজ়বুল্লা কথার অর্থ ‘আল্লার দল’। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের শিয়া মুসলিমদের এই দল বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থেকেছে। ১৯৮০-র দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই হিজ়বুল্লা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা হাসান নাসরাল্লাহ।
স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চেয়ে লেবাননের হিজবুল্লার যোদ্ধার সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। অস্ত্রসম্ভারেও অনেক এগিয়ে লেবাননের শিয়া গোষ্ঠীটি। নানা ক্যালিবার এবং পাল্লার রকেটের পাশাপাশি ইরানের মদতপুষ্ট এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে ‘গাইডেড’ ক্ষেপণাস্ত্রও! রয়েছে শক্তিশালী ড্রোন। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের সামরিক প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি পুরনো রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজও সেরে ফেলেছে হিজবুল্লা।