হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লা। —ফাইল চিত্র।
লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ইজ়রায়েলি সেনার রকেট হামলায় শনিবার হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লার মৃত্যু হয়েছে। তার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয় নাসরাল্লার পরে কে বসবেন তাঁর ফাঁকা আসনে। রবিবার সকালেই ইরান মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা বেছে নিল তাদের পরবর্তী প্রধানকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হিজ়বুল্লার নতুন প্রধান হলেন হাশেম সাফেদ্দিন।
কে এই সাফেদ্দিন? নাসরাল্লা এবং সাফেদ্দিন প্রায় একই সময়ে হিজ়বুল্লা গোষ্ঠীতে শামিল হন। বর্তমানে তিনি ওই সংগঠনের কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। একই সঙ্গে দেখতেন সংগঠনের রাজনৈতিক দিকটিও। যুক্ত ছিলেন জ়িহাদ কাউন্সিলের সঙ্গেও। নাসরাল্লার সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। দু’জনকে দেখতেও অনেকটা একই রকম।
২০১৭ সালে আমেরিকা সাফেদ্দিনকে ‘সন্ত্রাসী’ তালিকাভুক্ত করেছিল। তবে তার পরও দমানো যায়নি তাঁর কার্যকলাপ। প্রায়শই তাঁকে আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে হুমকি দিতেও শোনা গিয়েছে সাফেদ্দিনকে। গত জুনে এক হিজ়বুল্লা কমান্ডরের মৃত্যুর পরই সরাসরি ‘যুদ্ধে’র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই ইজ়রায়েল সেনা লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। তবে শুক্রবার রাতে তাদের নিশানায় ছিল বেইরুট। দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে সেখানে। শনিবার বেইরুটে নাসরাল্লার ‘গোপন আস্তানা’য় রকেট হামলা চালায় ইজ়রায়েল। প্রথমে ইজ়রায়েলের তরফে নাসরাল্লা মারা গিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। পরে সশস্ত্র সংগঠনটিও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেয়।