(বাঁ দিকে) কানাডা পুলিশ এবং মৃত তরুণী গুরসিমরন কউর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কানাডার হ্যালিফ্যাক্সে শিখ তরুণীর মৃত্যুতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। সোমবার এ কথা জানিয়েছে কানাডার পুলিশ। যদিও অন্য সংস্থাগুলি এখনও তদন্ত চালাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৯ অক্টোবর। হ্যালিফ্যাক্সের একটি বেকারিতে ‘ওয়াক-ইন ওভেন’-এর ভিতর জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর উনিশের তরুণীর। ‘ওয়াক-ইন ওভেন’ হল সাধারণের তুলনায় বড় মাপের ওভেন। যেগুলি মূলত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। প্রায় এক মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে সোমবার সে দেশের পুলিশ জানিয়ে দিল, মৃত্যুর নেপথ্যে সন্দেহজনক কিছু নেই। খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
কানাডার সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্ক যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে তরুণীর মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। কানাডার পুলিশ এখনও মৃতার নাম প্রকাশ্যে আনেনি। তবে কানাডায় এক প্রবাসী শিখ সংগঠনের দাবি অনুসারে মৃতার নাম গুরসিমরন কউর। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণীর মা-ও একই বেকারিতে কাজ করতেন। তিনিই প্রথম ওভেনের মধ্যে মেয়ের দেহ দেখতে পান।
হ্যালিফ্যাক্স পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক মার্টিন ক্রোমওয়েল সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে, এই মৃত্যু ঘিরে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল মানুষের মনে। ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে চাইছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিশদে তদন্ত করতে সময় লাগে। তদন্তের সময় বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং ভি়ডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের তদন্তে সন্দেহজনক কিছু উঠে আসেনি। আমরা মনে করছি না মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কেউ জড়িত।”
অক্টোবরে ওই তরুণীর মৃত্যুর পর পুলিশ জানিয়েছিল তদন্তটি বেশ ‘জটিল’ এবং একাধিক তদন্তকারী সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই মৃত্যুতে সন্দেহজনক কিছু পায়নি। তবে সেখানকার ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার এবং মেডিক্যাল এগ্জামিনার সার্ভিস এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।