গুলি কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর মঞ্চে রক্তাক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এক্স।
পেনসিলভেনিয়ায় আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভায় হামলার ঘটনার বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। জানালেন, ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস টিম মুহূর্তের মধ্যে গুলি করে হামলাকারীর মাথা উড়িয়ে দিয়েছিল। কী ভাবে বন্দুক নিয়ে ট্রাম্পকে নিশানা করেন অভিযুক্ত, কী ভাবে তাঁকে তাড়া করে গুলি চালানো হয়, কী ভাবে চোখের সামনে হামলাকারীর মাথা উড়িয়ে দেওয়া হয়, জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, ট্রাম্প যেখানে দাঁড়িয়ে সভা করছিলেন, তার থেকে বড়জোর দেড়শো মিটার দূরে ছিলেন হামলাকারী। একটি এক তলা বাড়ির ছাদে উঠে গুলি চালান তিনি। জোসেফ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী যুবক বলেন, ‘‘আমি পর পর অনেকগুলো গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। আমার পাশের এক ব্যক্তি গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়েন। ওঁর ঠিক মাথায় গুলি লেগেছিল। আর এক মহিলাকেও দেখলাম বসে পড়তে। ওঁর হাতে মনে হয় গুলি লেগেছে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। যে দিকে বন্দুকবাজ ছিলেন, আমরা তাঁর এবং ট্রাম্পের মাঝের অংশে দাঁড়িয়েছিলাম।’’
বিবিসিকে আর এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি হামলাকারীকে বন্দুক হাতে এক তলা বাড়ির ছাদে উঠতে দেখেছিলেন। তিনিই চিৎকার করে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করেন। তার পরেই তাঁকে তাড়া করা হয়। কিন্তু তাঁর কাছে পৌঁছনোর আগেই ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন অভিযুক্ত। তবে তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘সিক্রেট সার্ভিস টিম ওঁর মাথা উড়িয়ে দিয়েছে গুলি করে। তার পর তারা হামাগুড়ি দিয়ে ছাদে উঠেছিল। হামলাকারীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বন্দুক তাক করেই এগোচ্ছিল টিম। কিন্তু তত ক্ষণে হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছিল।’’
গুলি লাগতেই কানে হাত দিয়ে মঞ্চে বসে পড়েন ট্রাম্প। ভাইরাল ভিডিয়োয় পর পর তিনটি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। সিক্রেট সার্ভিস বাহিনী মঞ্চ থেকে ট্রাম্পকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানান, তিনি সুস্থ আছেন। তবে গুলি তাঁর কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কানের চামড়া চিরে গিয়েছে। মঞ্চেই ট্রাম্পের কান থেকে রক্ত পড়তে দেখা গিয়েছিল। শাসক, বিরোধী নির্বিশেষে আমেরিকার সকল রাজনীতিবিদ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, তাঁর দেশে এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই।