Israel-Palestine Conflict

‘গাজ়ার শরণার্থীদের জন্য রাফা সীমান্ত খোলা হবে না’, ইজ়রায়েলকে দুষেও বার্তা মিশরের প্রেসিডেন্টের

প্যালেস্তিনীয়দের এই গণহত্যার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মিশরের প্রেসিডেন্ট বুধবার বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে হয়ত আমরা দেখব প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের জন্য জমি রয়েছে। কিন্তু নাগরিক নেই।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কায়রো শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:০১
An image of Rafah Border

রাফা সীমান্ত দিয়ে দক্ষিণ গাজ়া থেকে প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের মিশরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ছবি: রয়টার্স।

রাফা সীমান্ত দিয়ে দক্ষিণ গাজ়া থেকে প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের মিশরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতাহ আল-সিসি বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্যালেস্তিনীয় শরণার্থী সমস্যার জন্য সরাসরি ইজ়রায়েলকে দুষেছেন তিনি। বুধবার মিশর সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে বৈঠকের পর আবদেল বলেন, ‘‘ইজ়রায়েলের জন্যই লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তেনীয় ঘরছাড়া হয়েছেন। এমনকি, তাঁদের আন্তর্জাতিক সহায়তার পথেও বাধা তৈরি করছে ইজ়রায়েল।

Advertisement

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জ়ো বাইডেনের পশ্চিম এশিয়া সফরের ঠিক আগে মঙ্গলবার গাজ়ার উপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছিল ইজ়রায়েল। ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের ওই ভূখণ্ডের ২৩ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় বাসিন্দার জল, খাবার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। মঙ্গলবার সেখানে আন্তর্জাতিক ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উপরেও বিধিনিষেধ জারি করে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। এর পর মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজ়ার হাসপাতালে ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

প্যালেস্তিনীয়দের এই গণহত্যার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মিশরের প্রেসিডেন্ট বুধবার বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে হয়ত আমরা দেখব প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের জন্য জমি রয়েছে। কিন্তু নাগরিক নেই।’’ এই পরিস্থিতিতে কেন প্যালেস্তিনীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে না মিশর? আবদেলের ব্যাখ্যা, ‘‘ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক থেকে জর্ডনে আশ্রয় নেওয়া প্যালেস্তেনীয় শরণার্থীরা যে সমস্যায় পড়েছেন, ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও তা-ই হতে পারে,’’

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবরে ভোরে গাজ়া সীমান্ত পার হয়ে ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে হামলাকারী হামাস যোদ্ধারা রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-এর পাঠানো ‘মেডিক্যাল কিট’ ব্যবহার করেছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল তেল আভিভ। হামলাকারী হামাস বাহিনীর ব্যবহৃত ইউনিসেফের ত্রাণসামগ্রীর ছবিও প্রকাশ করেছিল ইজ়রায়েল। অবরুদ্ধ গাজ়ায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুরোধও তারা নাকচ করেছিল। পাশাপাশি, দক্ষিণ গাজ়া সংলগ্ন মিশরের রাফা সীমান্ত দিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল পণ্য যাতায়াত।

নেতানিয়াহু সরকার উত্তর ও মধ্য গাজ়ার বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার জন্য ‘চরম সময়সীমা’র মেয়াদ বাড়ানোর কারণে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্থলপথে ইজ়রায়েলি সেনার গাজ়া অভিযান শুরু হয়নি। হাসপাতালকাণ্ডের কারণে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বুধবার কিছুটা কমেছে গাজ়ায়। রাষ্ট্রপুঞ্জ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘‘অবিলম্বে গাজ়ায় মানবিক সাহায্য পৌঁছনো প্রয়োজন।’’ মঙ্গলবার আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করেছিলেন আন্তর্জাতিক সাহায্য গাজ়ায় পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইজ়রায়েল সফররত জো বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকে আলোচনা হবে। কিন্তু বুধবারও কোনও আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছয়নি অবরুদ্ধ গাজ়ায়।

আরও পড়ুন
Advertisement