Donald Trump

শপথ নিয়ে বাইডেনের চার প্রবীণ আধিকারিককে সরালেন ট্রাম্প, সমাজমাধ্যম মারফত ‘বরখাস্ত নোটিশ’!

বরখাস্তের তালিকায় রয়েছেন পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিযুক্ত চার প্রবীণ আধিকারিক। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে এ ভাবে আরও অনেককেই ‘বরখাস্ত’ করা হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫০
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথের পরেই আমেরিকার একাধিক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিককে ‘বরখাস্ত’ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তালিকায় রয়েছেন পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিযুক্ত চার প্রবীণ আধিকারিক। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে এ ভাবে আরও অনেককেই ‘বরখাস্ত’ করা হবে।

Advertisement

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে আমার প্রথম দিন এখনও সমাপ্ত হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই আমার প্রেসিডেন্সিয়াল পার্সোনেল অফিস সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পূর্ববর্তী প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এক হাজারেরও বেশি চিহ্নিত করে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যাঁরা আমাদের ‘আমেরিকার অগ্রাধিকার’ নীতিতে বিশ্বাসী নন, এমন সকলকেই বরখাস্ত করা হবে।’’

পোস্টে বিশেষত বাইডেন-ঘনিষ্ঠ চার আধিকারিকের নাম নিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বরখাস্ত’ করা হয়েছে প্রেসিডেন্টের কাউন্সিলের ক্রীড়া, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি দফতরের জোসে আন্দ্রেস, জাতীয় পরিকাঠামো উপদেষ্টা দফতরের মার্ক মিলি, উইলসন সেন্টার ফর স্কলার্‌সের ব্রায়ান হুক এবং রাষ্ট্রপতির বিশেষজ্ঞ কাউন্সিলের কেইশা ল্যান্সবটমকে। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘ইউ আর ফায়ার্‌ড (আপনাদের বরখাস্ত করা হল)!’’ পাশাপাশি, দুর্নীতি এবং অকর্মণ্যতার অভিযোগেও বাইডেন-প্রশাসনকে দুষেছেন ট্রাম্প।

সোমবার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প। শপথ নিয়েই ঘোষণা করেছেন, ‘‘আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হল।’’ জানিয়েছেন, দেশের নাগরিকদের স্বার্থরক্ষাই হবে তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার। শপথের আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই তিনি ‘প্রায় ১০০’ নির্বাহী আদেশে সই করবেন। ওই নির্দেশনামাগুলির অনেকগুলিতেই বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপকে বাতিল করে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় অন্যতম হল, ‘বেআইনি অভিবাসী বিতাড়ন’। চুরি-ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় করতে ইতিমধ্যেই নতুন আইন আনার পথে এক পা এগিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকার সেনেটে এ সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন