সময় যত এগোচ্ছে, ভূমিকম্পের ভয়াবহতা তত টের পাওয়া যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স।
মায়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭১৯ হয়েছে। জখম ৪৫২১ জন। এখনও খোঁজ নেই অন্তত ৪০০ জনের।
সময় যত এগোচ্ছে, ভূমিকম্পের ভয়াবহতা তত টের পাওয়া যাচ্ছে। দেশের জুন্টা সরকারের প্রধান মিন আং লাইং আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার পেরিয়ে যাবে।
মায়ানমারে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃহত্তম শহর মান্দালয় এবং রাজধানী নেপিদ। দেশ, বিদেশের উদ্ধারকারীরা এসে পৌঁছলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এখনও বহু জায়গায় ধ্বংসস্তূপের তলায় মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে। দুর্ঘটনার পর ৪ দিন কেটে গিয়েছে। এর পরেও কি কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আবহাওয়া কেমন, জল ও বায়ুচলাচল কতটা হচ্ছে, তার উপরেও বাঁচার হার নির্ভর করে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা কারও আঘাত যদি খুব গুরুতর না হয়, আবহাওয়া যদি খুব উষ্ণ বা শীতল না হয়, তা হলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন কেউ। ২০১১ সালে জাপানে সুনামি ও ভূমিকম্পের ৯ দিন পরে এক কিশোর ও তাঁর ৮০ বছরের বৃদ্ধা ঠাকুরমাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তার আগের বছর হাইতিতে ভূমিকম্পের ১৫ দিন পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে। মায়ানমারে নিখোঁজ ৪০০ জনের মধ্যে এখনও কিছু জনকে তাই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাবে বলে আশা প্রশাসনের।