তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ ঢুকেছে আগেই। এ বার অদূরের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপানের সঙ্গে যৌথ যুদ্ধ-মহড়া শুরু করল আমেরিকা। চিনা উপকূলের অদূরে শুরু হওয়া এই মহড়ায় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের পাশাপাশি অংশ নিয়েছে স্থলসেনার বিশেষ এয়ারবোর্ন ডিভিশন এবং গোলন্দাজ ব্রিগেড। তাইওয়ান প্রণালীতে চিনের সম্ভাব্য হামলা রোখার জন্যই পেন্টাগনের এই ‘প্রস্তুতি’ বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে গত সপ্তাহে আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত দু’টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছে। উত্তেজনার আবহে আমেরিকার নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিলের এই উপস্থিতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। তাইওয়ান প্রণালীর অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও মোতায়েন রয়েছে।
পেন্টাগনের তরফে অবশ্য পুরো বিষয়টিকে ‘রুটিন প্রক্রিয়া’ বলে দাবি করা হয়েছে। যুক্তি দেওয়া হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত এবং নিরাপদ রাখার জন্যই তাদের এই পদক্ষেপ। বস্তুত, আশির দশক থেকেই জাপানের সঙ্গে বার্ষিক ‘ওরিয়েন্ট শিল্ড’ মহড়া চালায় আমেরিকার সেনা। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলে এই যুদ্ধাভ্যাস। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে সময় নির্বাচন নিয়ে।