চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দং জুন। —ফাইল চিত্র।
নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পরেই ব্যাপক রদবদলে এক ধাক্কায় ৯ জন সামরিক কর্মকর্তাকে চিন তার পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করল। তার মধ্যে সেনাবাহিনীর কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের চার জন জেনারেলও রয়েছেন। শুক্রবার রাতে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। ওই দিন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কেন এঁদের বাদ দেওয়া হল, সেই কারণ জানানো হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এঁরা সকলেই তদন্তাধীন রয়েছেন।
শুক্রবারই চিনের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে বহাল হয়েছেন ডং জুন। তাঁর আগে ওই পদে ছিলেন লি শাংফু। লি মার্চ মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন। তার পরে অগস্ট থেকে হঠাৎই জনগণের চোখের আড়ালে চলে যান। অক্টোবরের শেষে তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়। তার পর এক মাসের বেশি সময় ধরে মন্ত্রীর আসনটি খালি ছিল। ডং জুন এসে তা পূর্ণ করলেন বটে, তবে অপসারণের পর্ব যে মেটেনি, সেটা বোঝা গেল নয় সেনা কর্তার সংসদ থেকে বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে।
৬২ বছরের ডং জুন নিজে এত দিন নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। সম্প্রতি চিনের গোপন রকেট বাহিনীতেও নেতৃত্বের পরিবর্তন করা হয়েছিল। এই বাহিনী বেজিংয়ের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের তত্ত্বাবধান করে থাকে। এই ইউনিটের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে আসার পরই রদবদল হয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বর্তমানে সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। চিনে সাধারণত প্রতিরক্ষামন্ত্রীই পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখ হয়ে কাজ করেন। আমেরিকান সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বও তাঁর। তবে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। সেটা শি একাই সামলান।