—ফাইল চিত্র।
একতরফা প্রাণহানি ঘটেনি ভারতের। গলওয়ান সঙ্ঘর্ষে তাদের বেশ কয়েক জন সেনাও প্রাণ হারান। এত দিনে সে কথা মানল চিন। গত বছর গলওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র ৫ অফিসার প্রাণ হারান বলে স্বীকার করল চিন। সংখ্যার হিসাব ভারত বা অন্য আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে না মিললেও এই প্রথম চিন যে প্রাণহানির কথা মানল তা কূটনৈতিক সাফল্যে বলেই ধরছে দিল্লি।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সম্প্রতি লাদাখে প্যাংগং হ্রদের তীর থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে চিন। তার মধ্যেই চিনা বাহিনীর সংবাদপত্র ‘পিএলএ ডেইলি’র একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে চিন সরকারের মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’। তাতে বলা হয়েছে, কারাকোরাম পর্বতে মোতায়েন ফ্রন্টিয়ার অফিসার এবং জওয়ান মিলিয়ে ৫ জনের কথা উল্লেখ করে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন (সিএমসি) জানিয়েছে ২০২০ সালের জুনে গলওয়ানে ভারতের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
মৃতদের মধ্যে শিনজিয়াং মিলিটারি কম্যান্ডের রেজিমেন্টাল কম্যান্ডার কুই ফাবাওয়ের নাম সামনে এনেছে ‘গ্লোবাল টাইমস’। বাকিদের চেং হংজুন, চেন শিয়াংরং, শিয়াও সিউয়ান এবং ওয়াং ঝুরাং বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে চেং হংজুনকে সীমা সুরক্ষায় অবদানের জন্য বিশেষ মরণোত্তর সম্মান প্রদান করা হয়েছে। বাকিদেরও প্রথম শ্রেণির জওয়ান হিসেবে মরণোত্তর সম্মান জানানো হয়।
ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ ঘিরে গত বছর ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে সঙ্ঘর্ষ বাধে চিনা বাহিনীর। তাতে প্রাণ হারান ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চিনের তরফেও প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানায় ভারতীয় সেনা। কিন্তু এত দিন হতাহতের কোনও পরিসংখ্যানই সামনে আনেনি চিন। বরং হতাহতের বিষয়টিকেই ভুয়ো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। যদিও রুশ সংবাদ সংস্থা ‘টাস’ যে পরিসংখ্যান সামনে আনে, সেই অনুযায়ী গলওয়ান সঙ্ঘর্ষে চিনা বাহিনীতে ৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।