পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মেহুল চোক্সী। —ফাইল চিত্র।
বেলজিয়ামেই আছেন পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোক্সী! তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত বলেই এ বার জানাল সে দেশের সরকার। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টি ‘অত্যন্ত গুরুত্ব ও মনোযোগ’ সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে বেলজিয়াম সরকারের তরফে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বেলজিয়ামের ‘ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস’-এর (এফপিএস) বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র ডেভিড জর্ডেন্সের কাছে মেহুলের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, বিদেশ মন্ত্রক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। যদিও এই বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারি না। এই বিষয়টি এফপিএস-এর বিচারকের অধীনে পড়ে।’’ তার পর তিনি যোগ করেন, বেলজিয়াম সরকার পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে মেহুলের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান মেহুল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি। সিবিআই এবং ইডি, উভয় সংস্থাই তাঁকে খুঁজছে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগা ও বারবুডায় ছিলেন মেহুল। সেখানকার নাগরিকত্বও রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে মেহুলকে ভারতে ফেরানো যায়নি। মেহুলের আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০২৩ সালে অ্যান্টিগা ও বারবুডায় বিচারবিভাগ জানিয়েছিল, তাঁকে ওই দেশ থেকে কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না। ফলে তাঁকে ফেরানোর তৎপরতায় তখনই ইতি পড়ে যায়। তবে সম্প্রতি, বেলজিয়ামে মেহুলকে দেখতে পাওয়ার পরই আবার তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় ভারত সরকার।
মেহুলের স্ত্রী প্রীতি চোক্সী বেলজিয়ামেরই নাগরিক। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্ত্রীর সাহায্যে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ জোগাড় করে বেলজিয়ামে থাকতে শুরু করেছেন মেহুল। এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য কোনও দেশের নাগরিক বৈবাহিক সূত্রে তাঁর স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে কিছু শর্তসাপেক্ষে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন। তবে অভিযোগ, ভুয়ো কাগজপত্র জোগাড় করে মেহুল বেলজিয়ামে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। নানা কৌশলে ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকানোর চেষ্টাও করে চলেছেন তিনি।