Sheikh Hasina

রাষ্ট্রীয় সফরে এ মাসেই ফের দিল্লিতে হাসিনা

সম্প্রতি মোদীর শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান উপলক্ষে দিল্লি ঘুরে গিয়েছেন হাসিনা, কিন্তু মোদীর সঙ্গে কাজের আলোচনার সময় মেলেনি, তখন তা সম্ভবও ছিল না। ২১ জুন শেখ হাসিনার এই সফর পূর্বনির্ধারিত ছিল বলেও জানাচ্ছে কূটনৈতিক সূত্র।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৮:০২
নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা।

নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা। —ফাইল ছবি।

রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করতে ফের নয়াদিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঠিক হয়েছে ২১ জুন তিনি দিল্লি পৌঁছবেন। তার পরের দিন মোদীর সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসবে তিস্তা-সহ ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ৫৩টি নদীর প্রসঙ্গ। নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ, অভিন্ন নদীগুলোর জলবণ্টন, স্থল ও সমুদ্র সীমায় বিরোধ নিরসন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা— ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা হবে দুই নেতার। সীমান্ত বিরোধ মিটলেও সীমান্তে পাচার ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে অস্বস্তি যেমন রয়ে গিয়েছে, তেমনই আবার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও তিস্তা চুক্তির জট খোলা যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা চুক্তির কার্যকালও শেষ হচ্ছে ২০২৬-এর ডিসেম্বরে। সেটিকে পুনর্নবীকরণের কাজ শুরু করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠতে পারে।

Advertisement

সম্প্রতি মোদীর শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান উপলক্ষে দিল্লি ঘুরে গিয়েছেন হাসিনা, কিন্তু মোদীর সঙ্গে কাজের আলোচনার সময় মেলেনি, তখন তা সম্ভবও ছিল না। ২১ জুন শেখ হাসিনার এই সফর পূর্বনির্ধারিত ছিল বলেও জানাচ্ছে কূটনৈতিক সূত্র। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন চলার সময়েই মে মাসে ঢাকা যান ভারতের বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা। সেই সময়েই তিনি হাসিনাকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। তখনই জানানো হয়, ভারতের নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরেই দিল্লি আসবেন হাসিনা।

বিনয় কোয়াত্রার কাছে থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরে জুনের ২১-২৩ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রস্তু‌তিও নিচ্ছিল ঢাকা। কিন্তু জোট সঙ্গীর উপরে ভর করে নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে টেলিফোনে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁর নতুন সরকা‌রের শপথ অনুষ্ঠানে হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান মোদী। বঙ্গবন্ধু কন্যাও সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে যোগ দেন মো‌দীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। ওই শপথগ্রহণের পরে কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে মোদীর সঙ্গে একান্তে কথাও বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীই ওই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনে আরও দৃঢ় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন
Advertisement