১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বক্তৃতা। — ফাইল চিত্র।
ঢাকার কেন্দ্রস্থল সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তর্জনী উঁচিয়ে দেশের জনগণকে নতুন পথে চালনা করেছিলেন তিনি। সেই ছবি এখনও অমলিন বাঙালির মনে। পাঁচ দশক আগের সেই দিনের কথা স্মরণ করে মঙ্গলবার অর্থাৎ সেই ৭ মার্চেই নতুন মোবাইল ব্রাউজ়ারের উদ্বোধন করল বাংলাদেশ। নয়া এই ব্রাউজ়ারের নাম ‘তর্জনী’। এমনটাই জানা গিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র সূত্রে।
মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে ব্রাউজ়ারটির উদ্বোধন করেন তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির কথা তুলে জুনাইদ বলেন, ‘‘আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। তাই ৭ মার্চ উপলক্ষে চালু করা হল জাতীয় মোবাইল ব্রাউজ়ার ‘তর্জনী’। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল পেতে হলে আমাদের শুধু বিদেশি সেবার ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। আমাদের স্বাবলম্বী হতে হবে। আমরা এমন একটি স্মার্ট বাংলাদেশ ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, যেটি হবে স্বাবলম্বী। সেই স্বাবলম্বী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্যই চালু করা হয়েছে ব্রাউজ়ারটি।’’ ভবিষ্যতে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমও (ওএস) চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই ব্রাউজ়ারের মাধ্যমে বাংলা ভাষাতেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া এতে রয়েছে ইংরাজি ভাষাও। অ্যাপল এবং গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে এই ব্রাউজ়ারটি। বাংলাদেশের এই নতুন পদক্ষেপ নিয়ে এ রাজ্যের তথ্য এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের মত, ‘‘বাংলাদেশের নাগরিকরা নিজের ভাষাকে সম্মান করেন, ভালবাসেন। এর আগে ওঁরা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আইনও বাংলায় তৈরি করেছেন। এই ধরনের নতুন ব্রাউজ়ার দেশের নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখবে। তবে এতে হয়তো এখনও অনেক রদবদল ঘটবে।’’