নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি সফরে যাচ্ছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। রবিবার দিল্লিতে গিয়ে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত মনমোহন সিংহের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তা ছাড়াও দিল্লির বিধানসভা ভোটে জেডিইউর প্রস্তুতি নিয়েও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা নীতীশের। কিছু দিন আগেই লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ এক আরজেডি বিধায়ক ফের নীতীশের সঙ্গে জোট বাঁধার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তার পরে নীতীশের এই দিল্লি সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। অবশ্য জেডিইউ সূত্রে খবর, নীতীশের দিল্লি সফর পূর্ব নির্ধারিত। দুই ঘটনার মধ্যে কোনও সংযোগ নেই।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নীতীশ দিল্লি গিয়ে প্রথমে মনমোহনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাবেন। তার পর দিল্লির জেডিইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। জেডিইউ সূত্রে খবর, এনডিএ-র শরিক বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চাইছে নীতীশের দল। ছ’টি আসনে লড়তে চাইছে তারা। এই বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা সেরে নিতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে পারেন নীতীশ।
সম্প্রতি লালু-ঘনিষ্ঠ আরজেডি বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্র সম্প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, “বিহার বহু রাজনৈতিক খেলা দেখেছে। এই ধরনের আরও খেলা ভবিষ্যতেও হতে পারে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনীতি সম্ভাবনার বিষয়। যদি সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে থাকতে থাকতে নীতীশ ক্লান্তবোধ করেন এবং মনে করেন যথেষ্ট হয়েছে, তবে আমরাও সিদ্ধান্ত (জেডিইউর সঙ্গে জোট নিয়ে) নেব।”
আপাত ভাবে বিহারের শাসকজোটে কোনও ফাটল নেই। তবে কিছু দিন আগেই সে রাজ্যের অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিজয়কুমার সিন্হা বলেন, “বিহারে বিজেপি একক শক্তিতে সরকার গঠন করলে অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্নপূরণ হবে।” প্রসঙ্গত, এখন নীতীশের দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। লালুর দলের একটি সূত্রের দাবি, বিজেপি নেতার এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি নীতীশের দলের বহু নেতা। তা ছাড়া বিজেপির প্রতি ‘অন্ধ আনুগত্য’ দেখানোয় অভিযুক্ত আরিফ মহম্মদ খানকে যে ভাবে কেরল থেকে সরিয়ে এনে বিহারের রাজ্যপাল করা হল, তাতেও নাকি অসন্তুষ্ট জেডিইউ। যদিও প্রকাশ্যে নীতীশের দলের তরফে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।