প্রতীকী ছবি।
চিনা অস্ত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অন্দরে। শুক্রবার প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, গত এক দশকে চিন থেকে কেনা যুদ্ধজাহাজ এবং বিমানে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়েছে। বাংলাদেশের সেনা প্রযুক্তিবিদেরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
প্রায় এক দশক আগেই বাংলাদেশে নৌ এবং বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণে কাজ দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী চিন থেকে দু’টি ব্যবহৃত টাইপ ০৫৩এইচ২ (জিংঘেই ২ ক্লাস) ফ্রিগেট কেনে। পরে কেনা হয় আরও দু’টি টাইপ ০৫৩এইচ৩ (জিয়াংহু ৩ ক্লাস) ফ্রিগেট।
এর পর চিন থেকে দু’টি টাইপ ০৫৬ কর্ভেট কেনা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি, ০৫৩এইচ৩ (জিয়াংহু ৩ ক্লাস) ফ্রিগেট দু’টিতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ত্রুটি ধরা পড়েছে। ওই যুদ্ধজাহাজ দু’টি থেকে হেলিকপ্টারে জ্বালানি ভরার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।
সমস্যা ধরা পড়েছে চিনা প্রশিক্ষণ বিমান ডায়মন্ড ডিএ-৪০-এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাতেও। চিন থেকে কেনা হাল্কা যুদ্ধবিমান কারাকোরাম-৮ (কে-৮)-এ অস্ত্র পরিবহণ এবং পরিচালন ব্যবস্থাও ঠিক মতো কাজ করছে না বলে ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হাতে বর্তমানে তিনটি কে-৮ বিমান আছে।
চিন থেকে কেনা স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা এফএম৯০ (এইচকিউ৭)-এর ব্যাটারি এবং অন্য কিছু যন্ত্রাংশেও গুরুতর যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় সেগুলি কার্যত ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে ওই রিপোর্ট জানিয়েছে।