Arun Majumdar

Arun Majumdar: আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট ২০২০’ বাঙালি অরুণ স্ট্যানফোর্ডের প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে

ওবামা সরকারের জমানায়, ২০১১-র মার্চ থেকে ২০১২-র জুন পর্যন্ত আমেরিকায় বিদ্যুৎ দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি পদে ছিলেন অরুণ মজুমদার।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২২ ১৩:৩৬
অরুণ মজুমদার।

অরুণ মজুমদার। ফাইল চিত্র।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ বছরের ইতিহাসে তৈরি হল নতুন নজির। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সঙ্কটের মোকাবিলার জন্য গবেষণার উদ্দেশ্যে ১০১ কোটি ডলার (প্রায় ৭,৭৬০ কোটি টাকা) ব্যয়ে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রথম এমন প্রতিষ্ঠান গড়া হচ্ছে আমেরিকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘটনাচক্রে, ২০২০ সালে আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’ পুরস্কার পান অরুণ।

শিল্পপতি জন ডোয়ের এবং তাঁর স্ত্রী অ্যানের অর্থসাহায্যে গড়ে তোলা হবে ‘স্ট্যানফোর্ড ডোয়ের স্কুল অব সাস্টেইনেবলিটি’ নামে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। আর তার শীর্ষে থাকবেন আমেরিকা প্রবাসী বঙ্গসন্তান অরুণ মজুমদার।

Advertisement
জন এবং অ্যানা ডোয়ের।

জন এবং অ্যানা ডোয়ের। ফাইল চিত্র।

‘স্ট্যানফোর্ড ডোয়ের স্কুল অব সাস্টেইনেবলিটি’-র প্রথম ডিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরুণের নাম। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে অরুণ বলেছেন, ‘‘বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জটিল সমস্যাগুলির স্থায়ী সমাধানে আমাদের প্রতিষ্ঠান গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগের পথে হাঁটবে।’’ অন্য দিকে অরুণ সম্পর্কে জনের মূল্যায়ন, ‘‘ওঁর ক্ষমতা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেটিরিয়াল সায়েন্সের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জে প্রিকোর্ট প্রোভোস্টিয়াল চেয়ার প্রফেসর অরুণ প্রিকোর্ট ইনস্টিটিউট অব এনার্জির সহ-অধিকর্তার পদেও ছিলেন। ২০০৯ সালে তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ওবামা সেনেটের অনুমোদন নিয়ে অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি-এনার্জি (এআরপিএ-ই)-র প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা হিসাবে মনোনীত করেছিলেন ওই অনবাসী বাঙালিকে। ২০১১-র মার্চ থেকে ২০১২-র জুন পর্যন্ত আমেরিকায় বিদ্যুৎ দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি পদেও ছিলেন অরুণ। বাইডেন সরকারের বিদ্যুৎ সচিব হিসেবেও তাঁর নাম আলোচনায় এসেছিল।

আসল নাম অরুণাভ মজুমদার হলেও আইআইটি বম্বের প্রাক্তনীর আমেরিকায় পরিচিতি ‘অরুণ’ হিসেবেই। আইআইটি বম্বে থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারিংয়ে ব্যাচিলার্স ডিগ্রি পাওয়ার পর অরুণ চলে যান আমেরিকা। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতে গবেষণার উদ্দেশ্যে। স্ট্যানফোর্ডের আগে অরুণ শিক্ষকতা করতেন তিনি অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement