প্রতীকী ছবি।
মহাকাশে চিনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ফের আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে উস্কে দিতে পারে। আমেরিকায় একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। চিনের হাইপারনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই পেন্টাগন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করেছে। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলির সুরক্ষার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
হাইপারসনিক-এর অর্থ শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন। মাইলের এককে ধরলে প্রতি সেকেন্ডে এক মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র। অগস্টে চিন মহাকাশে এমনই একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে বলে আমেরিকার একটি সামরিক নজরদারি সংস্থাকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যদিও পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ওই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি মহাকাশে লক্ষ্যভেদে সক্ষম হয়নি বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি চলে যায়।
তবে পরীক্ষার ফল যাই হোক, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার ফলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দিক থেকে চিন আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে, ভবিষ্যেতে চিনা গবেষকেরা ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যভেদের ক্ষমতাকে আরও নিখুঁত করে তুলতে পারবেন। এই ধরনের অতি দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার মতো প্রযুক্তি এখনও পেন্টাগনের নেই। এই পরিস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ কারণ রয়েছে বলেই তাঁদের মত।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চিনের তরফে হাইপারসনির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন মঙ্গলবার বলেন, ‘‘কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়নি। নিয়ম মেনে মহাকাশযান পুনর্ব্যবহারের প্রযুক্তিগত কার্যকারিতা যাচাই করা হয়েছে। মানব সমাজের কল্যাণের লক্ষ্যে চিন বিশ্বের অন্য দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ মহাকাশ অভিযানে অংশ নেবে।’’ তিনি জানান, মহাকাশ অভিযানের খরচ কমানোর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে রকেটের সাহায্যে একটি হাইপারসনিক যান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।