CBI Enquiry in Contai Recruitment scam

কাঁথির স্যরের বিরুদ্ধেও সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ, বড় ষড়যন্ত্রের অংশ? বলা হল দেখতে

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে বেকার যুবক-যুবতীদের সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে দীপক জানা নামে এক  শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪৮
Calcutta High court orders CBI enquiry to look into the role of An English teacher in East Midnapore

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। প্রতীকী ছবি।

শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে এক অন্য নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কাঁথির এক ‘প্রভাবশালী’ শিক্ষককে। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেল সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সিবিআইকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন, এর সঙ্গে রাজ্যের মূল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কোনও যোগ আছে কি না!

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে বেকার যুবক-যুবতীদের সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে দীপক জানা নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া জগন্নাথ মন্দির বিদ্যাপীঠের ইংরেজির শিক্ষক দীপক এলাকায় প্রভাবশালী বলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। কাঁথি থানায় এই অভিযোগ করেছিলেন কাঁথির কিশোরনগরের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা অঞ্জলি গুছাইত। সেই অভিযোগের জেরে গ্রেফতার করা হয় দীপককে। সম্প্রতি এই মামলাটির তদন্তভার পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিবিআইকে অর্পণ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন জয়দেব মণ্ডল-সহ কয়েক জন। তারই শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মান্থা।

Advertisement

সিবিআইকে বিচারপতির নির্দেশ, প্রাথমিক ভাবে এই দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে সিবিআই। তার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাতে হবে চলতি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই মামলার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না। ৩ সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রাথমিক অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।

রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, শুধু স্কুল নয়, নিয়োগ দুর্নীতির জাল বিস্তৃত হয়েছে অন্যান্য সরকারি দফতরের নিয়োগেও। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ছাড়াও এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই হুগলি জেলার দুই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ হুগলির ব্যবসায়ী অয়ন শীলের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এ বার পূর্ব মেদিনীপুরেও সেই নিয়োগ দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।

আরও পড়ুন
Advertisement