লাভপুরে প্রচার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহের। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্ব শুক্রবার শুরু হওয়ার পর থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রবিবার সরকারি কর্মীদের ছুটির কারণে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কাজ বন্ধ থাকায় গোলমালের খবর তেমন প্রকাশ্যে আসেনি। মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই শিরোনামে ছিল মুর্শিদাবাদ। ওই জেলার খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর অব্যাহত সেখানে। শনির পর রবিবারও নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, ফুলচাঁদকে যাঁরা হত্যা করেছেন, তাঁরা ‘সরকারি’ লোক। প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীর নিরাপত্তারও দাবি তুলেছেন অধীর। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, স্থানীয় বিবাদের জেরেই ওই খুন। খুনের ঘটনায় শনিবার রাতে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে গ্রেফতার হলেন ৩ জন। রবিবার মুর্শিদাবাদে সেই অর্থে অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে সুতি এবং হরিহরপাড়া থেকে।
শুক্র ও শনি মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিজেপি। সেই তালিকায় সিপিএম ও কংগ্রেসের পরে রয়েছে তৃণমূল। যদিও শাসকদলের বক্তব্য, তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার হিড়িক লাগবে সোমবার থেকে। গত ২ দিন ধরে তারই প্রস্তুতি চলেছে। সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়নের জন্য রবিবার বীরভূমে শান্তির বার্তা দেয় তৃণমূল। ঘটনাচক্রে, শনিবারই জেলার লাভপুরে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন-পর্বে গোলমালের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ভোটের আবহে রাজ্যে আসছেন কমিশনের ডিজি। বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।
পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মনোনয়নের সময় অশান্তির ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, উচ্চ আদালতের নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করে পুলিশের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যবহার করা হচ্ছে অশান্তি থামাতে। সেই সব সিভিক ভলান্টিয়ারদের লাঠিচার্জ করতে দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদলও। তা নিয়ে তরজার মধ্যে আবারও কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি। ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে তারা জনস্বার্থ মামলা করেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করতে পারে বলে অনুমান করছে গেরুয়া শিবির। তাই কমিশনের এই সংক্রান্ত ঘোষণার আগেই উচ্চ আদালতে মামলা করে রাখল দল।
পাহাড়েও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ ২ দশক পর সেখানে এই নির্বাচন হতে চলেছে। তা সামনে রেখে রবিবার বিজেপির উদ্যোগে এক ছাতার তলায় চলে এল বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল। শাসক তৃণমূল বিরোধী মহাজোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনাইটেড (সংযুক্ত) গোর্খা মঞ্চ’।
মুর্শিদাবাদে বোমা উদ্ধার
শুক্র এবং শনিতে মনোনয়ন ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির পর রবিবার কার্যত শান্তই ছিল মুর্শিদাবাদ। শনিবার ডোমকলে যে তৃণমূল নেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চাপান-উতোরের মধ্যেই বোমা উদ্ধার মুর্শিদাবাদে। রবিবার সকালে হরিহরপাড়া ও সুতি থানা এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। ২টি জায়গা থেকে ব্যাগ ও বালতি ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতি থানা এলাকার লক্ষ্মীপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় একটি আমবাগানে বালতি ভর্তি তাজা বোমা দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। হরিহরপাড়া থানা অন্তর্গত লালনগর-ঘোষপাড়া এলাকার একটি জঙ্গল থেকেও ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে রবিবার।
খড়গ্রামে অধীর
মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই তপ্ত মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। রতনপুর-নলদ্বীপ গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল ৯টার কিছু পরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নিহতের বাড়িতে পৌঁছন অধীর। কথা বলেন নিহতের আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে। এর পর সাংবাদিকদের সামনে শাসকদল এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। অধীর বলেন, ‘‘গবাদি পশুর লেজ পর্যন্ত কেটে দিয়েছে। এ তো মধ্যযুগীয় অত্যাচারের নিদর্শন পাচ্ছি আমরা। শিশুরা জানে না তাদের বাবা খুন হয়ে গিয়েছে। এই পাশবিকতার কি কোনও প্রয়োজন ছিল? পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে এই বাংলার গরিব পরিবারের উপর পাশবিক অত্যাচার কেন হল? তার জবাব কারা দেবে? গত কাল আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। দেখলাম, এক জন বয়স্ক মহিলার হাতের অর্ধেকটা কেটে দেওয়া হয়েছে।’’ অধীরের দাবি, ‘‘পুলিশ গড়িমসি কাটিয়ে ২-৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। আমরা পুলিশের কাছে দাবি করতে চাই, এই গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। এখানকার মানুষ আতঙ্কে আছেন এখনও। কারণ, যারা খুনি, তারা শক্তিশালী। ২-৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তাদের শক্তি কমে গিয়েছে এমন নয়। তারা সরকারি লোক। এই গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের।’’ বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। নিহত ফুলচাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে খড়গ্রামে প্রতিবাদ মিছিলও করেন অধীর। তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ফুলচাঁদ খুন হয়েছেন গ্রাম্যবিবাদের জেরে তৈরি রেষারেষি থেকে।
বীরভূমে তৃণমূলের শান্তিপ্রচার
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়েই বহু আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। তার মধ্যে এগিয়ে ছিল অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূম। এ বার সেই বীরভূমে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে (গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিহাড়ে বন্দি) শান্তির বার্তা দিল তৃণমূল। গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে অংশগ্রহণ করুন— নিজের দল এবং বিরোধীদের এই বার্তা দিয়ে রবিবার গাড়িতে চড়ে মাইক হাতে প্রচার চালালেন বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। এলাকায় তিনি বেশি পরিচিত রানা সিংহ নামেই। তাঁর এই উদ্যোগকে ‘নাটক’ বলেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
ভোট-পর্বে দলবদল
কোচবিহারের বিজেপিতে ভাঙন ধরাল তৃণমূল। পদ্মশিবির ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য তথা দিনহাটা বিধানসভার বিজেপি যুব মোর্চার আহ্বায়ক অনিমেষ বর্মণ। রবিবার দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন অনিমেষ। দলবদলের পরেই অনিমেষ তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি বলেছিল ‘অচ্ছে দিন’ আসবে। কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়ছে, তেলের দাম বাড়ছে। কোচবিহারে যাঁরা বিজেপি চালাচ্ছেন তাঁদের দ্বারা দল চালিত হতে পারে না।’’ অনিমেষের যোগদান নিয়ে উদয়ন বলেন, ‘‘অনিমেষকে দিয়ে বিজেপি এমন কাজ করিয়েছে যে, ও পুলিশের নজরে পড়ে গিয়েছে। আমরা চাই ওর গুণগুলিকে আমাদের সংগঠনের কাজে লাগাতে। ঠিক মতো চলতে পারলে ভবিষ্যতে পুরস্কৃত হবে।’’ এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘দল থেকে যাঁদের নাম আমরা বাদের খাতায় রেখেছি, তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করিয়ে বড় বড় কথা বলছেন উদয়ন। আজকেও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপিতে থাকলে খেতে পারবে না, তাই তৃণমূলে যোগদান করেছে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’’
পাহাড়ে মহাজোট
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে অবশেষে পাহাড়ে শাসক-বিরোধী মহাজোট। রবিবার দার্জিলিঙের জিমখানা ক্লাবে বৈঠকের পর জোটের ঘোষণা করা হয়। বৈঠক শেষে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘পাহাড়ে উন্নয়নের লক্ষ্যেই আমাদের এই জোট। দুর্নীতি রুখতে আমরা এক হয়েছি।’’ মহাজোটে বিজেপি, মোর্চা, হামরো ছাড়াও রয়েছে জিএনএলএফ, সিপিআরএম, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি নিজেদের পদ্ম প্রতীকে লড়লেও বাকিরা নিজেদের চিহ্নে লড়বে না। এ প্রসঙ্গে রাজু বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বভারতীয় দল। তাই দলের প্রার্থীরা পদ্ম চিহ্নেই লড়াই করবেন। আর আমাদের জোটসঙ্গীদের সকলের একটাই চিহ্ন হবে। যা দেখে মানুষ বুঝতে পারবে। আমাদের লক্ষ্য পাহাড়ে রাস্তা, নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা। প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল চালু করা।’’ পাহাড়ের রাজনীতির বৃত্তে যাঁরা ঘোরাফেরা করেন, তাঁদের একাংশের দাবি, আসলে আসন্ন লোকসভা ভোটকে নজরে রেখেই জোট গড়তে উদ্যোগী হয়েছিল বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে তার সলতে পাকানো। রাজু অবশ্য বলেন, ‘‘এই জোট শুধু পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’’ একই কথা বলেন বিমলও।
হাই কোর্টে সিভিক জনস্বার্থ মামলা
ভোটের কাজে অস্থায়ী কর্মীদের বাদ রাখার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন হাওড়ার বিজেপি নেতা দীপঙ্কর রীত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। পার্শ্বশিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটরাদের মতো অস্থায়ী কর্মীরা ভোটের কাজ করেছিলেন। যা জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পরিপন্থী। তা ছাড়া এই কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না।’’ গত সপ্তাহে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত অন্য জনস্বার্থ মামলায় কমিশনের কাছে হাই কোর্টও জানতে চায়, অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার নিয়ে কমিশন কী অবস্থান রয়েছে? এ নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে পদ্ধতি মেনে চলে, তা-ও নজরে রাখতে বলেছে আদালত। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ রয়েছে। সেখানে ভোটের কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাঁদের কোনও ভূমিকা থাকবে না বলেই আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে ভোটের কাজে লাগানো হবে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তার পরেই ভোটে কর্মীর ব্যবহার নিয়ে মামলা হল হাই কোর্টে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।
রাজ্যে মানবাধিকার কমিশন
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সংবাদমাধ্যমে গোলমালের খবর জানার পরই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে কমিশন। যে সব এলাকায় গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে, সেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করবেন ডিজি। স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করার পর কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও দেবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নোটিসও দিয়েছে কমিশন। এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবং পরে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘন না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিবকেও নোটিস দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।