Odisha Train Accident

৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স, ৩৪ জন চিকিৎসককে বালেশ্বরে পাঠাল রাজ্য, কী বলছে নবান্নের দুপুরের বুলেটিন

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ২০টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ১২০ জন যাত্রীকে রাজ্যে ফিরিয়‌ে আনা হয়েছে। এই যাত্রীদের মধ্যে আহত ১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ১৭:০৯
West Bengal govt take necessary step to Coromondel train accident case

দুর্ঘটনায় লাইন উপড়ে পড়ে রয়েছে ট্রেনের কামরা। —পিটিআই

বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় বিপাকে পড়া যাত্রীদের সাহায্যার্থে শুক্রবারই কন্ট্রোল রুম খুলেছিল নবান্ন। শনিবার দুপুরে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হল, দুপুর ১২টা পর্যন্ত বালেশ্বরে মোট ৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। রাজ্য থেকে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ৩৪ জন চিকিৎসক। আহত যাত্রীদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে পাঠানো হয়েছে ১০টি বাস। চিকিৎসার সামগ্রী নিয়ে গিয়েছে ২০টি মিনি ট্রাকও।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ২০টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ১২০ জন যাত্রীকে রাজ্যে ফিরিয়‌ে আনা হয়েছে। এই যাত্রীদের মধ্যে আহত ১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে ৫ জনকে। ঘাটাল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৬ জনকে। আহতদের মধ্যে দু’জনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দলকেও ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে রাজ্য। ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহত যাত্রীদের উদ্ধারকাজে তদারকি করার জন্য রাজ্যের চার জন আইএএস আধিকারিক, চার জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং এক জন এসিডিপিও বালেশ্বরে গিয়েছেন। নবান্নে সর্ব ক্ষণের যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে পর্যায়ক্রমে তাঁর দেখভাল করছেন আইএএস আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি রেলের ‘সমন্বয়হীনতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।

শুক্রবার সন্ধ্যা নামার ঠিক আগে বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, একটি মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রেনটির। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ঠিক সেই মুহূর্তে পাশের লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ডাউন লাইনে পড়ে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরাগুলির উপর এসে পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন ট্রেনটি। সঙ্গে সঙ্গে হাওড়াগামী সেই ট্রেনটির দু’টি কামরাও লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে নিহত এবং আহতের সংখ্যা। শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত রেলসূত্রে মৃতের সংখ্যা ২৬১ বলে জানানো হয়েছে। আহত ৬৫০ জনেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement