আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথা। ফাইল চিত্র।
রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারেন কিংবা নিষ্ক্রিয়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এখনও প্রাসঙ্গিক রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী আবার বুঝিয়ে দিলেন ‘কাননের’ গুরুত্ব। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের সঙ্গে এক বন্ধনীতে উচ্চারণ করলেন, এখনও তৃণমূলের ‘ওয়েটিং লিস্টে’ থাকা শোভনের নাম।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পাশাপাশি শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে তারাতলা-জোকা মেট্রো প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মমতা তাঁর বক্তৃতায় জানান, মেট্রোর ওই প্রকল্পের জন্য জমির সংস্থান করতে কলকাতা পুরসভার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তারাতলা ও জোকা স্টেশনের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে শোভনের পাশাপাশি পরবর্তী কালে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদও সক্রিয় ছিলেন বলেন জানান মমতা।
২০১০ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলকে এনে তারাতলা-জোকা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করিয়েছিলেন। সে সময় কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভন। সে প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘সে সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রকল্পের সমস্ত জমির সংস্থান করেছিলেন। আজ তাই তাঁকে ধন্যবাদ দিতেই হবে।’’
শোভনের প্রায় সাড়ে ৪ দশকের রাজনৈতিক জীবনের সিংহভাগই কেটেছে মমতার সঙ্গে। ২০১৯-এর অগস্টে শোভন তৃণমূল ছেড়ে তাঁর বান্ধবী বৈশাখীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে নীলবাড়ির লড়াইয়ের সময়ই বিজেপি ছাড়ার কথা জানান তাঁরা। চলতি বছরের জুন মাসে নবান্নে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মমতা সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। তার পরেই তাঁদের ‘ঘর ওয়াপসি’র সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে। যদিও এখনও তাঁদের দলে ফেরাননি মমতা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর শুক্রবারের বক্তৃতার পরে আবার শোভনদের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই মত তৃণমূল নেতাদের একাংশের।