Education Department

চাকরি বাতিলে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্ন

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও দু’দিন আগে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:০৬
West Bengal board of secondary education published a notification after supreme court\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s judgement

বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকমহলে। ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে হবে। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের ওপর সম্প্রতি এই স্থগিতাদেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শনিবার সেই নির্দেশের ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও দু’দিন আগে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশন নির্দেশিকা জারি করলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করায় কিছুটা ধন্দ তৈরি হয়েছিল চাকরি হারানো শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু শেষমেশ ইদের ছুটি থাকলেও শনিবার পর্ষদের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জারি করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকমহলে। কারণ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে যে শিক্ষকদের নিয়োগের উপর নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তাঁরা স্কুলে নিজেদের কাজে যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। যে শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এই স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে, তাঁরা আদৌ কাজে যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

শিক্ষকমহলের একাংশের মতে, এই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কাজে যোগদান করবেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। তাই স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সেখানে এই কথাটির স্পষ্ট করে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তা ছাড়া ডিআই বা স্কুল কর্তৃপক্ষকে আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আগামী ২৬ এপ্রিল মামলাটি ফের ওঠার কথা। সেখানে শুনানির পর চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত হয়, তার উপরেই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘এর আগেও সরকারের তরফে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি করেছে। এবং সেই বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে একাধিক মামলার ফলে নিয়োগ জটিলতা তৈরি হয়েছে আমাদের রাজ্যে। আমাদের দাবি, সরকার যখনই নির্দেশ দেবে তার মধ্যে যেন স্পষ্টতা থাকে। কোনও আইনি জটিলতা যেন না থাকে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement