যুগ্ম ভাবে স্বীকৃতি মিলেছে দুই হাসপাতালের। ফাইল চিত্র।
পরিষেবার মান, পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে আটটি বিষয়ের মাপকাঠিতে বিচার। তাতেই গত বারের মতো এ বারও ‘সুশ্রী-কায়াকল্প’ প্রকল্পে রাজ্যের সেরা হাসপাতাল হল এম আর বাঙুর। যুগ্ম ভাবে সেই স্বীকৃতি মিলেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেরও। সোমবার ফলাফল ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে যথাক্রমে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং সিউড়ি সদর হাসপাতাল।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতাল যাতে উন্নত পরিষেবা দিতে পারে, সেটাই আমাদের পরিকল্পনা। তাই এমন প্রকল্পের মাধ্যমে উৎসাহিত করে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রতি বছর প্রাথমিক থেকে জেলা স্তরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা, রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য, ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, রোগীর পরিজনেদের সন্তুষ্ট হওয়ার মতো আটটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি কয়েকটি ধাপে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রায় ছ’মাস ধরে স্বাস্থ্যকর্তা ও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞেরা বিষয়গুলি সমীক্ষার মাধ্যমে খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করেন।
শুক্রবার ২০২০-’২১ সালের সমীক্ষার রিপোর্টের চুলচেরা বিশ্লেষণের পরে সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হয়। স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “বিভিন্ন ক্যাটেগরির নম্বর দেখেই চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়।’’ তিনি জানাচ্ছেন, তাতেই দেখা যাচ্ছে, পর পর দু’বছর প্রথম স্থানে রয়েছে এম আর বাঙুর। তবে এ বার সেই স্থানে যুগ্ম ভাবে উঠে এসেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালও। তার পরেই রয়েছে জলপাইগুড়ি ও সিউড়ির হাসপাতাল। প্রথম স্থানাধিকারী ৫০ লক্ষ টাকা এবং অন্যগুলি কয়েক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার পাবে।