Doctor Harassment

দুই হাসপাতালে হুমকি ডাক্তারদের, ধৃত তিন

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক রোগীর আত্মীয়েরা সেখানকার ইন্টার্ন চিকিৎসককে কটূক্তি করেন বলে দাবি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান ও রতুয়া শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১২
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজ্যের দু’প্রান্তের হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদের ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল সোমবার রাতে।

Advertisement

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক রোগীর আত্মীয়েরা সেখানকার ইন্টার্ন চিকিৎসককে কটূক্তি করেন বলে দাবি। প্রতিবাদে, বিক্ষোভ দেখান ইন্টার্নেরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতিও শুরু করেন। তাঁদের দাবি, এক জন রোগীর সঙ্গে দশ-বারো জন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। তাতে পরিষেবা দিতে সমস্যার কথা বলায় বচসা বাধে। রাতে ওই ঘটনার ঘণ্টাখানেক পরে, কর্তব্যরত নিরাপত্তা রক্ষী ওয়ার্ডে আসেন বলেও ক্ষোভ তাঁদের। হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কটূক্তিতে অভিযুক্তকে পুলিশ ধরেছে।

একই রকম হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মালদহেও। আঙুল কেটে যাওয়া এক যুবকের হাতে সেলাই করা নিয়ে মালদহের রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যুবকের আত্মীয়-বন্ধুদের একাংশের বিরুদ্ধে। সেলাইয়ে ব্যবহৃত সুতো পুরনো— এই অভিযোগে চিকিৎসককে নতুন সুতো দিতে বলেন তাঁরা। ওই সুতো পছন্দ না হলে, চিকিৎসক তাঁদের বাইরে থেকে সুতো কিনতে বলেন। তা নিয়ে ঝামেলা বাধে। কর্তব্যরত চিকিৎসক অঙ্কুশ মণ্ডল বলেন, “টেবিল চাপড়ে অকথ্য গালাগালি, মারধরের হুমকি দেওয়া হয়।’’ রাতেই পুলিশ দু’জনকে ধরে। তবে মঙ্গলবার তাঁরা আদালতে জামিন পান। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, যাঁরা হুমকি দেন। হুমকি দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।” ধৃতদের পরিবার হুমকির অভিযোগ মানেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement