Bengal TET and SSC scam

আরও বড় মাথার খোঁজ! সিবিআইয়ের আশা, নতুন সূত্রও মিলে যেতে পারে জীবনকৃষ্ণের থেকে

প্রায় ৬৪ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা এবং তল্লাশির পর মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।  কী কী জানতে চাওয়া হতে পারে বিধায়ক জীবনের কাছে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩৬
TMC MLA Jiban Krishna Saha may be questioned by CBI to find out bigger culprits

সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ একাই বহু কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ফাইল চিত্র।

জীবনকৃষ্ণ সাহার অন্য জীবনের তল পেতে চায় সিবিআই। জানতে চায়, সেই জীবনের রাশ উপর মহলের কোন ‘ঈশ্বর’-এর হাতের সুতোয় বাঁধা— এমনই খবর সিবিআই সূত্রে। এ ক্ষেত্রে ‘কান টানলে মাথা আসে’ প্রবাদকে মাথায় রেখেই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা এগোচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। একদা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান জীবনকৃষ্ণের দুর্নীতিগ্রস্ত জীবনের সুতোয় টান দিয়ে ‘বড় মাথা’র সন্ধান পেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

প্রায় ৬৪ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা এবং তল্লাশির পর মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিধায়কের বাড়ির বাইরে থেকে উদ্ধার পাঁচটি বস্তার ভিতরে ইতিমধ্যেই ঘুষ দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের ছবি-সহ দিস্তা দিস্তা তালিকা হাতে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর পর সোমবার জীবনকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে এই সব তালিকা জীবন কার হাতে দিতেন? কার আশ্বাসে ওই চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিলেন তিনি? ‘বড় জায়গা’ থেকে আশ্বাস না পেয়ে কি তা দেওয়া সম্ভব?

Advertisement

সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ একাই বহু কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে সমস্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে, তা থেকে অন্তত পাঁচটি জেলার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এই পাঁচটি জেলা হল — মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং দুই দিনাজপুর। এর আগে হুগলিতে নিয়োগ দুর্নীতির দালাল হিসাবে তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জানতে পেরেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বড়ঞার বিধায়কের অধীনেও এমন কোনও এজেন্ট ছিল কি না, তাদের মাথা কে? তা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে।

ইতিমধ্যেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্টের সঙ্গে জীবনকৃষ্ণের ‘ঘনিষ্ঠতা’র কথা প্রকাশ্যে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের আর এক বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে জীবনকৃষ্ণের কোনও যোগ ছিল কি না, বা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, তা জানা যায়নি এখনও। সোমবার সকালে জীবনকৃষ্ণের দু’টি ফোন হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। জীবনকে জেরা করার পাশাপাশি ওই দু’টি ফোনও পরীক্ষা করে আরও তথ্য হাতে আসতে চলেছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।

আরও পড়ুন
Advertisement