(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ এবং শান্তিরঞ্জন কুন্ডু —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উল্টোডাঙার আবাসনে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে এল তৃণমূল। বুধবার সন্ধ্যায় সান সিটি আবাসনের কমিউনিটি হলে সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। হাতজোড় করে কুণালেরা বলেন, সে দিন যা ঘটেছিল, সবটাই অনিচ্ছাকৃত। পরিকল্পিত ভাবে কিছু করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলের তরফে তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করতে এসেছেন। কুণালের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যে ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে আবাসিকেরা খুশি।
ভোটের ফলঘোষণার পরের দিন জয়োল্লাসে অসংখ্য অটো, মোটরসাইকেল নিয়ে ওই আবাসনে ঢুকে পড়েছিল স্থানীয় তৃণমূলের একটি মিছিল। অভিযোগ, তারস্বরে বাজানো হয়েছিল ডিজে। যথেচ্ছ সোডার বোতলও ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। মমতার কানেও গিয়েছিল সে কথা। গত শনিবার দলের বৈঠকের শুরুতেই উল্টোডাঙার আবাসনের ঘটনায় ক্ষোভ জানান মমতা। প্রথমে উত্তর কলকাতার নির্বাচিত প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, সেখানে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করতে। পরে ঠিক হয় কুণাল যাবেন শান্তিকে নিয়ে। কারণ সেই মিছিলের পুরভাগে শান্তি ছিলেন বলে অভিযোগ।
ওই আবাসনের যে বুথ, সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অভিযোগ, স্থানীয় স্তরে ‘বদলা’ নিতেই আবাসনে ঢুকে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। যদিও কুণালেরা বুধবার গিয়ে নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলেও আবাসিকদের আশ্বস্ত করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘটনাচক্রে, উল্টোডাঙার ওই আবাসনটি পড়ে মানিকতলা বিধানসভার মধ্যে। যেখানে আগামী ১০ জুলাই উপনির্বাচন হবে। যে উপনির্বাচনে তৃণমূলের আহ্বায়ক করা হয়েছে কুণালকে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না হলেও প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে যে তৃণমূল প্রার্থী করতে চলেছে, সে ব্যাপারে আর গোপনীয়তা নেই। বুধবার সন্ধ্যায় কুণাল দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশিই মানিকতলা উপনির্বাচনের প্রচারও সেরে এসেছেন কৌশলে। জানা গিয়েছে কুণাল বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রিয় সাধনদার মৃত্যুর কারণে মানিকতলায় ভোট হচ্ছে। আমাদের প্রার্থীর নাম অনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা হয়নি। তবে বৌদি (সাধনের স্ত্রী সুপ্তি) ভীষণ ভাল মানুষ। সবার যত্ন করেন।’’