Shatarup Ghosh

২ লাখের সম্পত্তি নিয়ে ২২ লাখি গাড়ি! সিপিএমের ‘হোলটাইমার’ শতরূপকে নীতি-কটাক্ষ কুণালের

২০২১-এ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় শতরূপ জানিয়েছিলেন, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। গাড়ির রসিদের পাশাপাশি, সেই হলফনামার ছবিও প্রকাশ করেছেন কুণাল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ১২:৫৪
TMC leader Kunal Ghosh questions Shatarup Ghosh’s expensive car purchase.

শতরূপের গাড়ি কেনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। ফাইল ছবি।

এ বার সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের সম্পত্তির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নথিপত্র প্রকাশ করে তাঁর প্রশ্ন, সিপিএমের ‘হোলটাইমার’ অর্থাৎ সর্বক্ষণের কর্মী হয়ে কী ভাবে এত দামি গাড়ি কিনলেন শতরূপ?

কুণাল টুইটে জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্রায় ২২ লাখ টাকা খরচ করে একটি গাড়ি কিনেছেন শতরূপ। এক লপ্তেই সেই গাড়ির দাম মিটিয়েছেন তিনি। নথি প্রকাশ করে শতরূপের গাড়ি কেনার প্রমাণও দিয়েছেন কুণাল। এর পরেই তিনি টেনে এনেছেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ। ওই নির্বাচনে কসবা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন শতরূপ।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় শতরূপ জানিয়েছিলেন, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। সেই হলফনামার ছবিও টুইটে প্রকাশ করেছেন কুণাল। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সিপিএমের সর্বক্ষণের কর্মী হয়ে গাড়ি কেনার জন্য কী ভাবে এত টাকা খরচ করতে পারলেন শতরূপ?’’ এ বিষয়ে বিশদে জানার জন্য তৃণমূলের মুখপাত্র তথা দলের যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় পালের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন কুণাল।

সম্পত্তির হিসাব দেখালেও কুণালের মূল অভিযোগ কিন্তু নীতিগত প্রশ্নে। শতরূপ মার্কসবাদ, লেনিনবাদে বিশ্বাসী সর্বহারাদের দলের নেতা। তিনি কোন নীতিতে ২২ লাখ টাকা দামের গাড়ি চড়েন? প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।

তৃণমূলের এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে শতরূপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি জানান, দুপুর ১টা নাগাদ তিনি সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সেখানেই নিজের সম্পত্তি প্রসঙ্গে ওঠা প্রশ্নের জবাব দেবেন বাম নেতা।

শতরূপের আগে কুণাল প্রশ্ন তুলেছিলেন সিপিএমের আর এক নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরির প্রসঙ্গে। তৃণমূলের তরফে একটি চিঠির প্রতিলিপি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, পরীক্ষা দিয়ে নয়, চিরকুটের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছিলেন সুজনের স্ত্রী। গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ় কলেজে তিনি দীর্ঘ দিন চাকরি করেন। বর্তমানে ভোগ করছেন পেনশনও। যদিও, বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগকে ‘সর্বৈব মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন মিলি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, চাকরির ইন্টারভিউতে তিনিই প্রথম হয়েছিলেন। জয়েনিং লেটারকে সুপারিশপত্র বলে দাবি করছে শাসকদল।

মিলির চাকরির বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বাংলার রাজনীতিতে চর্চা চলছে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই কুণালবাণে বিদ্ধ আর এক সিপিএম নেতা শতরূপ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি কী জবাব দেন, তা সাংবাদিক বৈঠকের পর জানা যাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন