Elephant Tusk Smuggling

‘হাতির দাঁত চোরাচালানের সঙ্গে যোগ’! বক্সারে ধৃত কলকাতার তৃণমূল নেতা, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত দলের

পুলিশ এবং বনবিভাগের আধিকারিকদের যৌথ অভিযানে চোরাচালান কারবার ফাঁস। বক্সারের রাহপুর থানা এলাকার একটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি বড় হাতির দাঁত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩১
TMC leader arrested from Buxar in ivory smuggling case

ধৃত তৃণমূল নেতা অশোক ঝা। —ফাইল চিত্র।

হাতির দাঁত চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিহারের বক্সার থেকে গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল নেতা। এ ছাড়াও এই একই মামলায় আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে বক্সারের পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কলকাতার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। তবে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

জানা গিয়েছে, পুলিশ এবং বনবিভাগের আধিকারিকদের যৌথ অভিযানে এই চোরাচালান কারবার ফাঁস হয়েছে। বক্সারের রাহপুর থানার দেবকুলি গ্রামের একটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি বড় হাতির দাঁত। তার ওজন ২০ কেজির বেশি। বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন অশোককুমার ঝা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়ি থেকে হাতির দাঁত উদ্ধার হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক অশোক। তিনি উত্তর কলকাতার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভাপতি হয়েছিলেন। বর্তমানে অশোক তৃণমূলের হিন্দি সেলের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত।

ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। এই প্রসঙ্গে বিবেক বলেন, ‘‘আমি শুনেছি ওরা (অশোক ঝা) বাড়িতে হাতি রাখত। বিহারের অনেকেই হাতি রাখেন বাড়িতে। সম্প্রতি ওদের একটি হাতি মারা যায়। সেই মরা হাতি তাঁরা বিক্রি করে দিয়েছিল। হাতির দাঁত দু’টি রেখে দিয়েছিল বাড়িতে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দল এবং সব পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ অশোককে ‘তৃণমূলের নতুন বীরাপ্পন’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সমাজমাধ্যমের এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘‘এত দিন ওরা বালি, কয়লা, গরু, চাকরি চুরি করত। এখন ওরা হাতির দাঁতের চোরাচালানেও সিদ্ধহস্ত।’’

আরও পড়ুন
Advertisement