Cyclone Dana in West Bengal

২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর ন’টি জেলায় সব স্কুল ছুটি, ‘দানা’ মোকাবিলায় বুধ থেকেই সতর্কতা জারি

আবহবিদদের অনুমান, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং এই রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার উপর পড়তে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৪০
Mamata Banerjee said state government ensure precaution of Cylone dana

ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের ন’টি জেলার সব স্কুলে ছুটি থাকবে, ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বুধবার থেকেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হচ্ছে।

Advertisement

আবহবিদদের অনুমান, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং এই রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার উপর পড়তে পারে। দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বেশি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। এ ছাড়াও, এই তিন জেলার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে প্রভাব পড়তে পারে। এই ন’টি জেলাতে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ইন্ট্রিগ্রেটেড কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। বুধবার থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মাইকিং চলছে সর্বত্র।’’

দুর্যোগ মোকাবিলায় আগে যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ বারও সেই সব ব্যবস্থা থাকছে। উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। দুর্যোগের আশঙ্কা কাটার পরই আবার ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে জানান মমতা। পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করারও নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আগেভাগেই জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের। কোন জেলায়, কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা-ও জানান মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে মণীশ জৈন, উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বে রাজেশকুমার সিংহ, হাওড়ায় রাজেশ পাণ্ডে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সুরিন্দর গুপ্ত, হুগলিতে ওমপ্রকাশ সিংহ মিনা, পূর্ব মেদিনীপুরে পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, ঝাড়গ্রামে সৌমিত্র মোহন এবং বাঁকুড়ার দায়িত্বে অবনীন্দ্র শীল।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আরও ঘনীভূত হয়ে বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপটি। বঙ্গোপসাগরের একাংশ এখন থেকেই উত্তাল হতে শুরু করেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকেই পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার সমুদ্র আরও উত্তাল হবে। বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে।

আরও পড়ুন
Advertisement