—প্রতীকী ছবি।
রাজভবনে ‘শ্লীলতাহানি’র মামলায় রাজ্য ও কেন্দ্রকে শোকজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ওই দু’পক্ষ বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা না দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রারের তরফে তাদের শোকজ করা হয়। গত শুক্রবার সহকারী রেজিস্ট্রারের তরফে জারি করা একটি নির্দেশে শোকজের কথা জানানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের তরফে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত এক আইনজীবীর কথায়, এটি একটি স্বাভাবিক পদ্ধতি। মামলায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না। রাজ্য ও কেন্দ্র আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেছে। অন্য দিকে, সোমবার এই মামলাটি ওঠার কথা থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের শুনানির তালিকায় মামলাটি স্থান পায়নি। পরবর্তী শুনানি কবে হবে তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, তালিকা মেনে সোমবার শুনানি না হলেও চলতি সপ্তাহে মামলাটি প্রধান বিচারপতির এজলাসে উঠতে পারে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলা কর্মী। গত ১৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলায় নোটিস জারি করে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে মামলায় যুক্ত করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারকেও। কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্র এই মামলার প্রেক্ষিতে নিজেদের ‘পাল্টা বক্তব্য’ দিয়ে হলফনামা জমা দেয়নি বলে জানাচ্ছেন রেজিস্ট্রার। নির্দেশনামায় তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের আইনজীবী এই মামলা নিয়ে অগ্রসর হলেও ‘কাউন্টার অ্যাফিডেবিট’ জমা দেননি। আর ডাক মারফত কেন্দ্রের কাছে মামলার নোটিস যাওয়ার পরেও তারা কোনও হলফনামা দেয়নি। অন্য দিকে, ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়, মামলাকারী তথা রাজভবনের ওই মহিলা কর্মী অতিরিক্ত কিছু তথ্য ও নথি শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছে।
আইনজীবীদের মতে, গত শুনানিতে নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো নোটিস পেয়েছে সব পক্ষ। সরাসরি আদালত নির্দেশ দিয়ে কোনও হলফনামা চায়নি। ফলে হলফনামার বিষয়টি এখনই বাধ্যতামূলক নয়। মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানাবেন। রেজিস্ট্রারের তরফে ওই বিষয়ে ‘অফিস রিপোর্ট’ করা হয়েছে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। শেষমেশ সব তথ্য ও নথি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কাছেই পাঠানো হয়েছে। সেখানেই পুরো বিষয়টি বিবেচনা হবে।