গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক এবং অচিকিৎসক কর্মীর ছুটি বাতিল করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে উদ্ভূত সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত। একটি নোটিস জারি করে আরজি কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অবিলম্বে ছুটি বাতিলের এই নির্দেশ কার্যকর হবে। তবে আগে থেকে যাঁদের ছুটি অনুমোদিত হয়ে গিয়েছিল, তাঁদের আপাতত ছুটি বাতিল করে কাজে যোগ দিতে হবে না।
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পরেই পুলিশ তদন্ত করে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। তবে তার পরেও হাসপাতালে প্রতিবাদ বিক্ষোভ থামেনি। শনিবার থেকেই বিপর্যস্ত হাসপাতালের পরিষেবা। যাঁরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার দুপুরে হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক এবং অ-চিকিৎসক কর্মীর ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ একটি নোটিস জারি করেন। তাতে ছুটি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি হাসপাতালের সমস্ত কর্মীকে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট উর্দি পরেও কাজ করতে বলা হয়েছে। যদিও সেই নোটিসের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরজি করের সুপারের পদ থেকে সরানো হয় তাঁকে। তাঁর বদলে ওই পদে দায়িত্ব নেন ডিন বুলবুল মুখোপাধ্যায়।
অন্য দিকে, আরজি কর হাসপাতালের এই ঘটনায় রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল তো বটেই, জাতীয় স্তরের চিকিৎসক সংগঠনও প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন দেশের হাসপাতালগুলিকে সোমবার একাধিক পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। দেশ জুড়ে চিকিৎসক সংগঠনগুলি দোষীর কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে। যে দাবিতে মঙ্গলবারও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জাতীয় স্তরের চিকিৎসক সংগঠনটি।