WBJEE RESULTS

WBJEE 2021: সৌমজিৎ চান ইঞ্জিনিয়ার হতে, কী পড়বেন এখনও ঠিক করেননি পাঞ্চজন্য

পাঞ্চজন্য। আইআইটি প্রবেশকা পরীক্ষার (জয়েন্ট্র এন্ট্রান্স অ্যাডভান্স) ফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন জয়েন্টে প্রথম পাঞ্চজন্য দে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ১৯:১৬
 সৌম্যজিৎ দত্ত এবং পাঞ্চজন্য দে।

সৌম্যজিৎ দত্ত এবং পাঞ্চজন্য দে।

প্রথম জন এখনও ঠিক করতে পারেননি, শেষ পর্যন্ত কী পড়বেন। দ্বিতীয় জন দিদির মতোই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার লক্ষ্যে স্থির। ওঁরা রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পাঞ্চজন্য দে এবং সৌম্যজিৎ দত্ত।

রাজ্যের জয়েন্টে প্রথম হলেও আগামী নিয়ে কী নিয়ে পড়াশোনা করবেন, তা নিয়ে এখনও কিছু স্থির করতে পারেননি জয়েন্টে প্রথম পাঞ্চজন্য। আইআইটি প্রবেশকা পরীক্ষার (জয়েন্ট্র এন্ট্রান্স অ্যাডভান্স) ফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।

Advertisement

রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের ছাত্র পাঞ্চজন্য শুক্রবার তাঁর খড়দার বাড়িতে বসে জানালেন, জয়েন্ট্র এন্ট্রান্স অ্যাডভান্স ফল দেখে ভর্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। পছন্দের বিষয় পদার্থবিদ্যা।পরীক্ষার আগে দিনে ৫-৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। মাধ্যমিকে পেয়েছিলাম ৪৮৩ (৯৬.৬শতাংশ)। উচ্চমাধ্যমিক ৬৬৯ (৯৫.৫ শতাংশ)। পাঞ্চজন্য বলেন, ‘‘এখনও স্থির কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে না পড়লে পিওর সায়েন্স নিয়ে পড়ব।’’ জয়েন্টে প্রথম হওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভাল ফল করব জানতাম। ১ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকার আশাও করেছিলাম। তবে প্রথম হব ভাবিনি।’’

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে দ্বিতীয় বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সৌম্যজিৎ অবশ্য সরাসরি জানিয়েছেন, বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চান তিনি। বাবা স্বরূপ দত্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। মা অপর্ণা দত্ত গৃহবধূ। সৌম্যজিৎ অবশ্য বাবার মতো চিকিৎসক হতে চান না।

পরিবার সূত্রে খবর, ছোট থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা বাঁকুড়ার পুয়াবাগান এলাকার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনে সৌমজিতের পড়াশোনা। মাধ্যমিকে প্রায় ৯৬ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পর বাঁকুড়া জেলা স্কুলে ভর্তি হন। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮০। ছোট থেকেই তাঁর প্রিয় বিষয় অঙ্ক ও পদার্থ বিদ্যা। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে দ্বিতীয় হয়ে তাই সৌম্যজিৎ কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান।

জয়েন্টে নিজের ফল জানার পর সৌম্যজিতের মন্তব্য, ‘‘ভালো ফল হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় হব ভাবতে পারিনি। পড়াশোনা ছাড়াও ভালো লাগে ক্রিকেট খেলতে। উচ্চ মাধ্যমিক ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স দু’টি পরীক্ষাকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলাম।’’ অপর্ণা বলেন, ‘‘ছেলের এই সাফল্যে আমরা খুব খুশি। কোনও দিনই আমরা ছেলেকে কোনও বিষয়ে জোর করিনি। ছেলে যা পড়তে চায় তাই পড়বে।’’ সৌম্যজিতের দিদি সুস্মিতা দত্ত পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বলেন, ‘‘ভাইয়ের সাফল্যে আমি গর্বিত। ও ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব ভাল। তাই জয়েন্টে ভাল ফলেরই আশা ছিল।’’

Advertisement
আরও পড়ুন