কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা আদালতে বহু বছর ধরে পড়ে রয়েছে প্রচুর মামলা। সময় পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি ওই মামলাগুলির। এখনও বিচারের আশায় দিন গুনছেন অনেকে। এ বার পুরনো সেই মামলাগুলির নিষ্পত্তিতে জোর দেবে জেলা আদালত। রবিবার স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় এমনটাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। এমনকি এর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
রীতি মেনে প্রতি বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা দিবস পালিত হল কলকাতা হাই কোর্টে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিচারপতি বিন্দল। তার পর প্রথা অনুযায়ী বক্তৃতা রাখেন তিনি। সেখানেই রাজ্যের পুরনো মামলাগুলির মীমাংসা সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন জেলা আদালতে বড় সংখ্যক পুরনো মামলা রয়েছে। বহু বছর ধরে সেগুলির বিচার হয়নি। এ বার রাজ্যের সমস্ত আদালতের আধিকারিকদের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হবে। যাতে গুরুত্ব সহকারে ওই মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া হয়।’’
কোভিড পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল শুনানির গুরুত্বের কথাও রবিবার জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘কোভিড অতিমারি সত্ত্বেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে আমরা আইনের দরজা সবার জন্য খোলা রাখতে পেরেছি। গত এক বছরে ৪৭ হাজারের বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মামলা।’’ বর্তমানে নির্ধারিত সংখ্যার অর্ধেকেরও কম বিচারপতি রয়েছেন হাই কোর্টে। তাতেও মীমাংসার হার খুবই ভাল বলে জানান বিচারপতি বিন্দল। তাঁর কথায়, ‘‘শুধুমাত্র এ বছরেই ২৫ হাজার মামলা দায়ের হয়েছে। ৪০ শতাংশ বিচারপতি নিয়েই তার বেশির ভাগটাই এখন মীমাংসার পথে।’’
শুধু কলকাতা হাই কোর্ট নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে জেলা আদালতগুলিতেও মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যাও চমকপ্রদ। এ নিয়ে বিচারপতি বিন্দল জানান, ওই আদালতগুলিতে সাড়ে পাঁচ লক্ষ মামলার মধ্যে ইতিমধ্যে সাড়ে তিন লক্ষ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। অন্য দিকে,ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে প্রায়শই যান্ত্রিক সমস্যার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। এ নিয়ে কিছুদিন আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন উচ্চ আদালতের এক বিচারপতি। তা নিয়ে বিচারপতি বিন্দলের মন্তব্য, এই সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরিকাঠামো যা-ই হোক না কেন, ধীরে ধীরে তার উন্নতি হচ্ছে।