Minor Death

‘আর জি করেরই বিচার হল না, আমরা কি পাব’

চার বছরের শিশুটির বাবা-মা খেতমজুর। এক ছেলেও আছে তাঁদের। আত্মীয়েরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পাওনা টাকা আনতে মেয়েকে কাছের এক বাড়িতে পাঠান মা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৩১
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর জি করে তরুণী চিকিৎসক খুন-ধর্ষণের পরে এখনও বিচার চলছে। হুগলিতে নিহত, ধর্ষিত শিশুকন্যার মায়ের সংশয়, তাঁরা ঠিক বিচার পাবেন তো? সোমবার তিনি বলেন, “ফাঁসি দিতে না পারলে লোকটাকে জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হোক। ওর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।” তাঁর প্রশ্ন, “এত বড় হাসপাতালে (আর জি কর) দিদি মারা গেল, তার বিচার এখনও দিতে পারল না (বিচার প্রক্রিয়া অবশ্য নিম্ন আদালতে চলছে)। আমাদের মতো সাধারণ ঘরের মানুষ কি বিচার পাবে!”

Advertisement

চার বছরের শিশুটির বাবা-মা খেতমজুর। এক ছেলেও আছে তাঁদের। আত্মীয়েরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পাওনা টাকা আনতে মেয়েকে কাছের এক বাড়িতে পাঠান মা। পরে অভিযুক্ত পড়শির বাড়ির বিছানার নীচে বস্তায় মৃতদেহ মেলে। সোমবার কলকাতা মেডিক্যালে ময়না তদন্ত হয়েছে। শিশুটির বাবা বলেন, “মেয়ের জন্য মাংস এনেছিলাম। খেতে পারল না। লোকটার ফাঁসি চাই।”

ধৃত স্থানীয়দের মার খেয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি। হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার জানান, খুন এবং পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত করছে সিট। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত অপরাধ কবুল করেছে। স্থানীয়দের দাবি, ধৃতের দুই বিয়ে। দুই স্ত্রীই ছেড়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলেমেয়ে। বাড়িতে একা থাকত সে। নেশা করত। ২০০৬-এও এক শিশুর যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত ছিল ধৃত।

আরও পড়ুন
Advertisement