Bengal Recruitment Case

নিয়োগ মামলায় আরও এক অভিযুক্তের জামিন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত মুক্ত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রসন্ন । তবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করলেও তাঁর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত ট্রায়াল শুরু হয়নি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৯
সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন প্রসন্নকুমার রায়।

সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন প্রসন্নকুমার রায়। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার এক মিডলম্যানকে জামিন দিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ওই ‘মিডলম্যান’-এর নাম প্রসন্নকুমার রায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এই প্রসন্নেরও ভূমিকা ছিল বলে জানা গিয়েছিল সিবিআই তদন্তে। তাঁকে নিয়ে নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর জামিন পেলেন তিনজন। এর আগে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এসএসসি নিয়োগ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন নীলাদ্রি ঘোষ। এসএসসি মামলায় দ্বিতীয় জামিন হল প্রসন্নের।

Advertisement

এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রসন্ন । আবার তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে শোনা গিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলাকালীন। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলার তদন্তে নেমে তাঁর নাম পেয়েছিল সিবিআই। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্নকে গ্রেফতারও করে সিবিআই। তবে গ্রেফতার করা হলেও প্রসন্নের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত ট্রায়াল শুরু হয়নি। এমনকি, চার্জশিট দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ না করায় বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রসন্ন। জামিনের আবেদন করে মামলা করেন। তাঁর হয়ে ওই মামলা লড়েন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহতগি এবং আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। শুক্রবার সেই মামলারই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

কী ভাবে মিলল জামিন? প্রসন্নের আইনজীবী অনির্বাণের কথায়, ‘‘২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চার্জশিটও দেওয়া হয়েছিল। অথচ তার পরও সেই চার্জশিটে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কোনও ট্রায়ালও শুরু করা যায়নি। ফলে এই অভিযুক্তেরা জানতেই পারছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে আসলে অভিযোগ কী। সেটা অবিচার হচ্ছে।’’ এই শর্তেই জামিনের আবেদন করা হয়েছিল প্রসন্নের। আইনজীবী অনির্বাণের কথায়, ‘‘আমরা বিষয়টি বিচারপতিকে জানিয়েছিলাম। শুনানির সময় সিবিআইকে বিচারপতি বলেন, ‘তোমরা হোমরাচোমরাদের বাইরে রেখে এই সব ব্যবসায়ীদের আটকে রেখেছো! কেন আটকে রাখা হয়েছে এঁকে?’’ আইনজীবী জানিয়েছেন, শুনানিতে এর জবাবে সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তের প্রয়োজনে আটকে রাখা হয়েছে। জবাবে বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, তা হলে সিবিআই এত দিন ধরে কী করছিল? শেষ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর হয় প্রসন্নের।

তবে জামিন মিললেও তার কিছু শর্ত থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রসন্নকে জামিন দিয়ে জানিয়েছে, জামিনের শর্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নিম্ন আদালতে। তারাই ঠিক করবে, প্রসন্নকে জামিন দেওয়ার পরিবর্তে তাকে কী কী শর্ত মেনে চলতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement