UPI Fraud

এক মিনিটে দু’খেপে উধাও এক লাখ টাকা! ইউপিআই মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের শিকার হলেন নিউ টাউনের তরুণী

প্রতারণার শিকার হয়ে বিধাননগর সাইবার সেলের দ্বারস্থ হয়েছেন সায়নী সরকার ঘোষ নামে ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হরিদেবপুর শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর টাকা লোপাট হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৯

—প্রতীকী ছবি।

দুপুরে আচমকাই ফোনে মেসেজ এল। তাতে লেখা— ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে! মেসেজ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল তরুণীর। কোনও অনলাইন লেনদেন তো দূরের কথা, ফোনই ছোঁননি তরুণী। তার পরেও কী ভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হল? ভাবতে ভাবতেই পরের মেসেজ। এ বার তাতে লেখা— পাঁচ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও এক লক্ষ টাকা!

Advertisement

ইউপিআই প্রতারণার শিকার হয়ে সাইবার সেলের দ্বারস্থ হলেন সায়নী সরকার ঘোষ নামে সেই তরুণী। তিনি নিউ টাউনের বাসিন্দা। সায়নী জানান, হরিদেবপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তরুণীর অভিযোগ, গত ৮ নভেম্বর দুপুর ২টো নাগাদ সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দু’টি কিস্তিতে এক লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁর ফোনে প্রথম মেসেজটি আসে দুপুর ২টো ১ মিনিটে। প্রথম বারে তোলা হয় ৯৫ হাজার টাকা। ঠিক এক মিনিট পর আরও একটি মেসেজ আসে। দ্বিতীয় কিস্তিতে পাঁচ হাজার টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সায়নী বলেন, ‘‘ওই সময় আমি অনলাইনে কিছুই কিনছিলাম না। ফলত, অনলাইন লেনদেনের কোনও প্রশ্নই নেই। আমার ফোনে কোনও ওটিপি-ও আসেনি। তার পরেও কী ভাবে প্রতারণার শিকার হলাম, বুঝতে পারছি না।’’

তরুণীর দাবি, পুলিশের কাছে সাইবার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তাঁর কথায়, ‘‘যে হেতু ব্যাঙ্কটি হরিদেবপুরে, তাই প্রথমে সেখানেই গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে আমাকে নিউ টাউন থানায় যেতে বলা হয়। আবার সেখান থেকেও আমাকে হরিদেবপুর থানায় পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল।’’ যদিও সায়নী জানান, শেষমেশ তাঁর অভিযোগ বিধাননগর সাইবার সেলে গৃহীত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁকে।

পুলিশের সাইবার-বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, অনলাইন লেনদেন না করেও প্রতারণার শিকার হওয়ার নজির রয়েছে। সেই মুহূর্তে কিছু না করলেও হতে পারে, এক-দু’দিন আগে প্রতারকদের পাঠানো কোনও লিঙ্কে ক্লিক করেছিলেন তরুণী। যাকে ‘ফিশিং’ বলা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে তরুণীর ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন
Advertisement