জলপাইগুড়ির তিস্তাপার থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু বিস্ফোরক ‘অতি সংবেদনশীল’ বলে জানা গিয়েছে। —ফাইল চিত্র।
তিস্তার পারে উদ্ধার হওয়া কিছু বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে বিশেষজ্ঞ দলকে খবর পাঠাল সেনাবাহিনী। জলপাইগুড়ির তিস্তাপার থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু বিস্ফোরক ‘অতি সংবেদনশীল’ বলে জানা গিয়েছে। সেগুলি ফাটিয়ে নিষ্ক্রিয় করতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রয়োজন বলে সেনা সূত্রের দাবি। সেই বিস্ফোরণের অভিঘাত বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার, মহালয়ার দিনও কয়েকটি শেল উদ্ধার হয়েছে বলে মণ্ডলঘাট এলাকার বাসিন্দাদের দাবি। যদিও পুলিশ এখনও বিষয়টি যাচাই করেনি। এখনও তিস্তার পলিতে বহু শেল চাপা পড়ে রয়েছে বলে সেনার দাবি। জল কমতে শুরু করলে, সেগুলি বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ দিন বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয়নি। তবে পুজোর আগে সমস্ত বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার কাজ শেষ করতে চাইছে পুলিশ। সিকিম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, দিনভর খারাপ আবহাওয়ার জন্য এ দিন হেলিকপ্টারে উদ্ধারকাজ করা যায়নি। তবে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার স্থানীয় বাসিন্দাদের ওষুধ, ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। ভ্রমণ সংস্থাগুলোর একাংশের দাবি, হাতে গোনা কিছু পর্যটক এখনও আটকে রয়েছেন। সিকিমের মুখ্য সচিব ভি বি পাঠক এ দিন দুর্যোগে বিপর্যস্ত চারটি জেলা— মঙ্গন, নামচি, পার্কিয়ং, গ্যাংটকের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন উদ্ধারকাজ, ত্রাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সংস্কার প্রসঙ্গে।
দক্ষিণ লোনাক হ্রদে বিপর্যয়, হড়পা বানে চুংথাংয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ উড়ে যাওয়ার পরে, তিস্তার মতো নদীর গতি আটকে বাঁধ দিয়ে একের পরে এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নামছে সিকিমের একটি সংগঠন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংগঠনও। সব ঠিক থাকলে আজ, রবিবার উত্তর জঙ্গুতে প্রতিবাদ-মিছিলে শামিল হবে তারা। ভবিষ্যতে বিপর্যয় এড়াতে তিস্তা, রঙ্গিতের মতো নদীতে সমস্ত জলাধার তুলে দেওয়া এবং নতুন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে ‘এফেক্টেড সিটিজেন অব তিস্তা’ নামে ওই সংগঠন।