Rishra Clash

রিষড়ায় দিলীপের মিছিল ঘিরে অশান্তি, আহত এক বিজেপি বিধায়ক, ওসি-সহ কয়েক জন পুলিশও জখম

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপের মিছিল রিষড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায় পৌঁছতেই অশান্তি ছড়ায়। ইটবৃষ্টি ও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রিষড়া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩১
রিষড়ায় অশান্তি। নিজস্ব চিত্র।

রিষড়ায় অশান্তি। নিজস্ব চিত্র।

হুগলির রিষড়ায় দিলীপ ঘোষের মিছিলে অশান্তি। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জখম হয়েছেন রিষড়া থানার ওসি-সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। রিষড়ার ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপের মিছিল রিষড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায় পৌঁছতেই অশান্তি ছড়ায়। ইটবৃষ্টি ও আগুন ধরানোর অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক বিমানের মাথায় চোট লেগেছে বলে খবর। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য দিকে, রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস-সহ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছে পুলিশ সূত্রে। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলি‌শের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ। তাঁর দাবি, এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল না। দিলীপের কথায়, ‘‘রিষড়ার ঘটনা ঘটল কী করে? পুলিশ কেন আগাম ব্যবস্থা নিল না। পুলিশের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। বিমান ঘোষের কানের পাশে মাথায় লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্টিচ পড়েছে। অনেকেরই লেগেছে।’’ রিষড়ার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত।

পাল্টা জবাবে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘দিলীপবাবুরা কী বলছেন, আমি জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ওখানে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা হয়েছিল। নিরাপত্তায় কোনও খামতি ছিল না। মিছিল করতে বহিরাগতদের আনা হয়েছিল। যাঁরা এলাকার বাসিন্দা নন, তাঁদের নিয়ে মিছিল করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এর দায় পুলিশের উপর চাপানো ঠিক হবে না।’’ বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে গন্ডগোল করার জন্য প্ররোচনা দিতে বিজেপি এই ঘটনা ঘটায়। এঁদের এক একটাকে ধরে কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement