Contai Municipality

শিশিরকে প্রণামের ‘শাস্তি’ পেলেন সুবল! অপসারিত কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান

গত ২৩ ডিসেম্বর কাঁথির এক অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁকে নিজের ‘গুরুদেব’ বলে সম্বোধন করেন সুবল। এ নিয়েই জটিলতার সূত্রপাত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪০
শিশির অধিকারী এবং সুবল মান্না।

শিশির অধিকারী এবং সুবল মান্না। —ফাইল চিত্র।

আদালতে গিয়েও পদ বাঁচল না। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ খোয়ালেন সাংসদ শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন করা সেই সুবল মান্না। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরির নেতৃত্বে কাঁথি পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর অনাস্থা বৈঠক করেন। তার পর সর্বসম্মতিক্রমে সুবলকে পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুপ্রকাশ।

Advertisement

গত ২৩ ডিসেম্বর কাঁথির এক অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁকে নিজের ‘গুরুদেব’ বলে সম্বোধন করেন সুবল। এ নিয়েই জটিলতার সূত্রপাত। প্রথমে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুবলকে শো-কজ় করা হয়। নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি জবাব দেননি। এর পর তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, সুবলকে কাঁথির পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই নির্দেশের পরেও পুরপ্রধানের পদ সামলে যান সুবল। তিনি পাল্টা শো-কজ়ের কারণ জানতে চান।

এর পর গত ২ জানুয়ারি সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর। নিয়ম হল, ১৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে পুরপ্রধানকে। তিনি ইস্তফা দেবেন কি না, এই জল্পনার মধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন সুবল। অন্য দিকে, ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পর আইন অনুযায়ী সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয় সোমবার। তার পরেই সরিয়ে দেওয়া হল সুবলকে।

আরও পড়ুন
Advertisement