West Bengal Panchayat Election 2023

প্রচার-শেষে কুণাল-শুভেন্দু দেখা, ‘চোর-চোর’ শুনে চলন্ত গাড়ি থেকেই প্রায় বেরিয়ে এলেন শিশির-পুত্র

শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে নন্দীগ্রামের বাজার মোড়ে উপস্থিত তৃণমূল নেতা কর্মীরা ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। শুভেন্দুও চুপচাপ বসে থাকেননি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৮:০২
Suvendu Adhikari

নন্দীগ্রামে গাড়ি থেকে মাথা বার করে কিছু বললেন শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে মুখ-সহ দেহের অনেকটাই দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর। উত্তেজিত ভাবে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে, কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে মৃদু হাসছেন কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার এমন দৃশ্যই দেখল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের শেষ দিন। নন্দীগ্রামে শেষবেলার প্রচার করছিল তৃণমূল। নন্দীগ্রাম বাজার মোড়ে চলছিল প্রচার সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং দলের অন্যান্যেরা। হঠাৎই সেখানে এসে পৌঁছয় নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়। মুহূর্তে বদলে গেল এলাকার পরিবেশ।

Advertisement

শুভেন্দুকে দেখেই কুণালের নেতৃত্বে উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। কনভয়ের মাঝামাঝি ছিল শুভেন্দুর গাড়ি। বিরোধী দলনেতার গাড়ি কুণালদের সামনে আসতেই ‘চোর চোর চোরটা, শিশির বাবুর ছেলেটা’ স্লোগান ওঠে। শুভেন্দুকে দৃশ্যতই বিরক্ত হতে দেখা যায় সেই স্লোগানে। পরিবেশ উত্তপ্ত হচ্ছে বুঝতে পেরে তত ক্ষণে শুভেন্দুর নিরাপত্তা রক্ষীরা কনভয়ের গাড়িটিকে তাড়াতাড়ি এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শুভেন্দুও তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান শুনে চুপচাপ বসে থাকতে পারেননি। তাঁকে প্রথমে জানলার পাশে বসে বিরক্তিসূচক কিছু বলতে দেখা যায়। কিন্তু তার পরও স্লোগান চলতে থাকলে শুভেন্দু গাড়ির জানলা দিয়ে প্রায় নিজের অর্ধেক দেহ বের করে আনেন। কুণালদের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতেও শোনা যায় শুভেন্দুকে। হাবেভাবে মনে হয় হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। যদিও তৃণমূলের সদস্যদের উচ্চস্বরে স্লোগানের জন্য বিরোধী দলনেতার কণ্ঠস্বর শোনা যায়নি। ফলে শুভেন্দু কী বলেছেন, তা অস্পষ্ট হয়ে যায়। অন্য দিকে, নন্দীগ্রাম বাজার মোড়ে তৃণমূলের প্রচারস্থলে দাঁড়িয়ে কুণালের মুখে দেখা যায় মৃদু হাসি।

বাংলার রাজনীতিতে নন্দীগ্রামের আলাদা গুরুত্ব। তৃণমূল বনাম শুভেন্দুর লড়াইয়ে সেই নন্দীগ্রাম এখন আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। এই নন্দীগ্রামের আন্দোলনই রাজ্যের ক্ষমতায় এনেছিল তৃণমূলকে। এই নন্দীগ্রাম থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন শুভেন্দু। সব মিলিয়ে এই পঞ্চায়েত ভোটেও অতি গুরুত্বপূর্ণ নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের শেষ দিনেও নাটকীয় মোড় নিল প্রচারপর্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement