মঙ্গলবার এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। —নিজস্ব চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে ১৭, ২০৬ জনের একটি অংশের কথা উঠে এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাত্যের সাংবাদিক বৈঠকে আরও স্পষ্ট হয়ে যায় যে কোনও তালিকা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। কারণও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, তালিকা প্রকাশের অনুকূলে আইনি পরামর্শ না-পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সে ক্ষেত্রে তালিকা প্রকাশ না-হলে কারা বেতন পাবেন, কারা স্কুলে যাবেন, তা নির্ধারণ হবে কী ভাবে? প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্যের মন্তব্যে উঠে আসে, ১৭,২০৬ জনের একটি অংশের প্রসঙ্গ। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ওই অংশটি যোগ্য। যদিও ওই সময়ে তাঁকে পাশ থেকে কিছু বলার চেষ্টা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের বক্তব্যেও উঠে আসে, ওই ১৭,২০৬ জনের মধ্যে সকলেই যোগ্য না-ও হতে পারেন।
গত ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির চাকরি বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে একটি ‘ক্ল্যারিফিকেশন পিটিশন’-এর শুনানি ছিল। ব্রাত্যের বক্তব্য, সেখানে খুব পরিষ্কার ভাবে ১৭,২০৬ জনের উল্লেখ রয়েছে। তাঁরা ‘যোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি হলফনামাও দিয়েছে বলে জানান তিনি। বিকাশ ভবনে ব্রাত্যের সাংবাদিক বৈঠকের সময় তাঁর পাশেই বসেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে কিছু বলার চেষ্টা করেন। কী বলার চেষ্টা করেন তিনি তা স্পষ্ট নয়। তবে ওই ১৭,২০৬ জনের অংশকে ‘যোগ্য’ বলে ব্যাখ্যা করা নিয়ে আপত্তি জানান রামানুজ।
শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদ সভাপতিরা যখন সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন, তখন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ আচার্য সদনে ‘ঘেরাও’ হয়ে রয়েছেন। গত রাত থেকেই তিনি আটকে রয়েছেন এসএসসি ভবনে। সিদ্ধার্থ জানান, ওই ১৭,২০৬ জনের মধ্যে কারা অযোগ্য, সেই তালিকা তৈরি করবেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকেরা। তালিকা তৈরির পরে সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্কুল শিক্ষা দফতরে। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ওই তালিকা তৈরির জন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ওই সূত্র জানিয়েছে,বুধবারের মধ্যে কমিশনের থেকে শিক্ষা দফতরে তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।