Calcutta High Court

চাকরি বাতিলের পর ৮৪২ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে ১০ দিনের মধ্যে: এসএসসিকে কোর্ট

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী দশ দিনের মধ্যে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে কমিশনকে। ২৫ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ ১৭:২৯
SSC must recruit in vacant group C posts, Justice Abhijit Ganguly ordered that

গ্রুপ সি-র শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র।

গ্রুপ সি পদে ৮৪২ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে শুক্রবারই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৮৪২ জনের চাকরি যাওয়ার পর যে শূন্যপদ তৈরি হবে, তা দ্রুত পূরণ করার জন্যও এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী দশ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে কমিশনকে। ২৫ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। অবৈধ উপায়ে ওয়েটিং লিস্টে স্থান পাওয়া কোনও চাকরিপ্রার্থী যাতে কাউন্সেলিং-এ ডাক না পান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে এসএসসিকে।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, শুক্রবার থেকেই স্কুলে ঢুকতে পারবেন না এই গ্রুপ সি কর্মীরা। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করতে হবে এসএসসিকে। স্কুলের কোনও কাজের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না। তবে এখনই ওই কর্মীদের বেতন ফেরতের কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। বিষয়টি আদালত পরে বিবেচনা করবে।

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার শুনানিতে দুপুর ১টা ২ মিনিটে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই ৫৭ জনের নামের তালিকা এসএসসিকে প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ বিকেল ৩টে ২ মিনিট পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। (তবে বিচারপতি মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন, ৩টে ১৫-য় এজলাসে ফিরে তালিকা দেখতে চান তিনি)।

সেই সময়সীমার ঢের আগে, ২টো ৩১ মিনিটেই এসএসসির ওয়েবসাইটে সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি পাওয়া ৫৭ জন গ্ৰুপ সি কর্মীর নামের তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হল। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণা মেনেই সাড়ে ৩টেতে আবার এই মামলার শুনানি হয়। এর পর শুনানি-পর্বের শেষে ৭৮৫ জনের সুপারিশপত্র বাতিল এবং এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগপত্র পাওয়া ওই ৫৭ জনের সরাসরি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি।

উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেয় এসএসসি। তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, সুপারিশপত্র না দিলে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় না! এই ৫৭ জনের ক্ষেত্রে এসএসসি অফিস থেকে কোনও সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গত বছর সন্দীপ প্রসাদের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, এসএসসির গ্রুপ সি পদে প্রায় ৩৫০ জন কর্মীকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement