TET

পর্ষদের সামনে বিক্ষোভরত টেট-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের কয়েক জন অসুস্থ! তবু অবস্থানে অনড় সহযোদ্ধারা

চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা ‘টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট’ (টেট) পাস করেছেন। তার পর দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বিধাননগর শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৫৭
অসুস্থ এক বিক্ষোভকারীকে ঘিরে অন্যান্যরা।

অসুস্থ এক বিক্ষোভকারীকে ঘিরে অন্যান্যরা। —নিজস্ব চিত্র।

চাকরির দাবিতে বিক্ষোভরত টেট-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। বিক্ষোভে উত্তাল সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবন এলাকা।

সোমবার থেকে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভে অনড় টেট-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরা নড়েননি। এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসে পড়েন। মঙ্গলবার সকালেও বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর অসুস্থ হওয়ার হওয়ার খবর মিলেছে।

Advertisement

এই বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা ‘টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট’ (টেট) পাস করেছেন। তার পর দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি।

অন্য দিকে, আগামী বুধবার থেকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিক্ষোভ দেখানো চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে আগে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। অবৈধ উপায়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের অপসারিত করে মেধার ভিত্তিতে টেট-উত্তীর্ণ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পরে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে চার জন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি সংবলিত পত্র তাঁর হাতে তুলে দেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, প্রাথমিকে শিক্ষক পদে কুড়ি হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু তার পরেও কেউ চাকরি পাননি। এখন মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement