Justice Rajasekhar Mantha

‘এ ভাবে চলতে পারে না, সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে’! বয়কটে ক্ষুব্ধ বিচারপতি মান্থা

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। পরে তাঁর এজলাস বয়কটের জন্য বেনামি পোস্টারও পড়ে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১২
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। এ বার এজলাস বয়কটের ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে চলতে পারে না! এটা সরকারের জন্যই ক্ষতি! সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সমাজের জন্য এটা সুস্থ ব্যবস্থা নয়।’’

তাঁর এজলাসে এখনও সরকারি আইনজীবীদের একাংশের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, ‘‘এখনও যে ভাবে অনেক মামলায় সরকারি আইনজীবীরা গরহাজির থাকছেন তাতে ক্ষতি হচ্ছে। আইনজীবীর অভাবে পুলিশ অফিসাররা হাজিরা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এ তো চলতে পারে না! এটা প্রশাসনের জন্যই ক্ষতির।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। পরে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের প্রস্তাবও আনেন বার কাউন্সিলের কলকাতা শাখার সদস্যদের কয়েক জন। চলতে থাকে এজলাসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ। থমকে যায় বহু মামলার শুনানিও। এমনকি, হাই কোর্ট চত্বরে আইনজীবীদের দু’টি দলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও দেখা যায়। এর পর মান্থার এজলাস বয়কটের জন্য পোস্টারও পড়ে।

সে দিনের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ‘বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’। বিশৃঙ্খলাকারী আইনজীবীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিচার করা হবে বলেও জানিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার কথাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ এখনও মান্থার এজলাস বয়কট চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

এরই মধ্যে শুক্রবার আদালত অবমাননায় কলকাতা পুলিশের এক কর্তার হাজিরার মামলায় বিচারপতি মান্থার এজলাসে উপস্থিত হন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘‘বিষয়টি জেনে স্বেচ্ছায় এই মামলায় যুক্ত হয়েছি। আমাকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। আশা করি, তার মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর হয়ে যাবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement