—প্রতীকী চিত্র।
দিন তিনেক আগেই তারা রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে একাধিক গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১০ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ধরেছে ধানতলা ও হাঁসখালি থানার পুলিশ। অনুপ্রবেশে সাহায্য করার অভিযোগে পাঁচ দালালকেও ধরা হয়েছে। সে রাতেই উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থেকেও দুই বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি, অনুপ্রবেশ রুখতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নদী, ঘাটগুলিতে বৃহস্পতিবার তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদী গ্রেফতার হতে সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশে যাতায়াতের তথ্য মেলায় নড়েচড়ে বসেছেন গোয়েন্দারা। এ দিন গোসাবা, সুন্দরবন কোস্টাল ও ঝড়খালি থানা এলাকার সমস্ত খেয়াঘাট এবং নদীতে জলযান থামিয়ে তল্লাশি চলেছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, ধানতলার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই এমন এলাকা দিয়ে এক নাবালিকা-সহ ১০ বাংলাদেশি এ দেশে ঢোকে। অভিযোগ, অনুপ্রবেশে সাহায্য এবং স্থানীয় দত্তপুলিয়া ও যুগলকিশোর পঞ্চায়েতের কয়েকটি বাড়িতে তাদের লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দালালেরা। ধানতলা থানার পুলিশ দত্তপুলিয়ার কানিবাউনি থেকে এক নাবালিকা-সহ সাত জনকে ধরে। ধৃতদের মধ্যে তিন জন নোয়াখালির বাসিন্দা। বাকিদের বাড়ি মাগুড়া, মণিরামপুর, মোড়লগঞ্জ, যশোরে। যুগলকিশোর পঞ্চায়েতের পাঁচবেড়িয়া থেকে মাগুড়া, নড়াইল, লোহাগড়ের তিন জনকে ধরা হয়। তাদের জেরা করে হাঁসখালির ওমরপুর থেকে দুই এবং ধানতলা থেকে তিন দালালকে ধরা হয়।
ধৃতদের রানাঘাট কোর্টে নিয়ে যাওয়ার পথে, ধানতলা থানার সামনে কিছু ক্ষণ রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে এক মতুয়া সংগঠন। তাদের দাবি, বাংলাদেশের ‘অত্যাচারিত’ সংখ্যালঘুদের গ্রেফতার না করে, উদারতার চোখে দেখা হোক। অনুপ্রবেশে অভিযুক্তদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পাঁচ দালালের মধ্যে দু’জনকে পাঁচ, তিন জনকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছে। রানাঘাট পুলিশ-জেলার ডেপুটি সুপার (সীমান্ত) সোমনাথ ঝা বলেন, “ধৃত দালালদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে, চক্রে কারা যুক্ত।”
অন্য দিকে, বুধবার রাতে স্বরূপনগরের তারালি গ্রাম থেকে বাংলাদেশের বাগেরহাটের বাসিন্দা দু’জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এ দিন সকালে দুই কাশ্মীরি যুবককে ক্যানিং স্টেশনের কাছ থেকে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। শ্রীনগর থেকে আত্মীয়কে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন এক কাশ্মীরি দিনমজুর। তাঁদের জঙ্গি-যোগ মেলেনি।