মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনের পরিবর্তে জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে বিধানসভার ২৭২ নম্বর আসনটি। ফাইল চিত্র।
আগামী বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্বল্পকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশনে জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে বিধানসভার ২৭২ নম্বর আসনটি। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের পর বিধানসভায় বিধায়কদের আসন বিন্যাস জরুরি হয়ে পড়ে। যাঁরা নতুন মন্ত্রী হয়েছেন তাঁদের ট্রেজারি বেঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে, আর যাঁদের মন্ত্রিত্ব চলে গিয়েছে তাঁদেরকে প্রাক্তন মন্ত্রীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেজারি বেঞ্চের পাশের ব্লকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পার্থ বসতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ ৩০০ নম্বর আসন। নিয়মানুযায়ী তাঁর পাশের আসনটি ফাঁকা থাকে। সেই ফাঁকা আসনটির পাশে বসতেন পার্থ। যেহেতু দীর্ঘ ১১ বছর তিনি পরিষদীয় মন্ত্রী ছিলেন, তাই তাঁকে এই আসনটি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ২৩ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থকে গ্রেফতার করে। তারপরই একদা তৃণমূলের মহাসচিবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে দল। প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে, পরে সমস্ত দলীয় পদ থেকে সরিয়ে, পার্থকে সাসপেন্ড করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভা ও দলের কোনও পদে না থাকলেও, এখনও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য জেলবন্দি পার্থ। তাই তাঁর বসার জন্য আসন বরাদ্দ করতেই হত। আর যে হেতু তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী, তাই তাঁকে সম্মানজনক কোনও আসন দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছিলেন বিধানসভার এক আধিকারিক। সেই মতো মন্ত্রিসভার সদস্যরা যে ট্রেজারি বেঞ্চে বসেন, তার পাশের ব্লকেই পার্থর বসার আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।
তবে জেলবন্দি পার্থ সম্ভবত বিধানসভার এই অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। তাই তাঁর জন্য আসন বরাদ্দ করলেও, সেই স্থান শূন্যই থাকবে। বিধানসভার এক আধিকারিক বলেন, “যে হেতু পার্থবাবু এখনও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য, তাই তাঁর জন্য আসন বরাদ্দ করতেই হবে। আমরা তাঁকে মন্ত্রিসভার পাশের ব্লকে আসন দিয়ে দিয়েছি। তবে আমরাও জানি, তিনি এই অধিবেশনে আসতে পারবেন না।”