Marriage Controversy

অধ্যাপিকা-ছাত্রের ‘বিয়ে’, মনস্তত্ত্বের ক্লাসে সিঁদুরদান, মালাবদল! নদিয়ার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হইচই

বিভাগীয় প্রধানের পরনে ছিল লাল বেনারসি, গলায় গোলাপ-রজনীগন্ধার মালা। তাঁর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দেন প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। ক্লাসঘরে মালাবদলও হয়। নাটক, না কি সত্যি? শুরু হয়েছে চর্চা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৭
Marry

ক্লাসঘর থেকে ছড়িয়ে পড়া যে সমস্ত ছবি ঘিরে বিতর্কের শুরু। —নিজস্ব চিত্র।

ক্লাসঘর হল ছাঁদনাতলা। মনস্তত্ত্ববিদ্যার ক্লাসে অধ্যাপিকাকে দেখা গেল কনের বেশে। বর প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। অধ্যাপিকা ও ছাত্রের মালাবদলের দৃশ্য মোবাইলে বন্দি করলেন অন্যান্য পড়ুয়া। ছড়িয়ে পড়ল সিঁদুরদানের ছবিও। সেই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বা ম্যাকাউট ক্যাম্পাসে। বিয়েটা সত্যি না কি অভিনয়, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। তার মধ্যেই যে অধ্যাপিকা তথা বিভাগীয় প্রধানের বিয়ের ছবি ভাইরাল হয়েছে, তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, যে ছবি এবং ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল, সেটি ম্যাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি’ (ফলিত মনস্তত্ত্ববিদ্যা) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার।

মঙ্গলবার বিভাগীয় প্রধানের পরনে ছিল লাল বেনারসি। গলায় গোলাপ-রজনীগন্ধার মালা। প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া ক্লাসঘরে ‘ম্যাডাম’-এর সিঁথি রাঙিয়ে দেন সিঁদুরে। ওই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যে কেউ ছবি তুলেছেন, কেউ ভিডিয়ো করেছেন। সেগুলো কিছু ক্ষণের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই বিতর্কের শুরু।

জানা যাচ্ছে, ভিডিয়ো দেখে ওই বিভাগীয় প্রধানকে তড়িঘড়ি ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের সেই পড়ুয়ারও খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে সহপাঠীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্লাসরুমে তাঁর ওই আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মৌখিক ভাবে উনি জানিয়েছেন, একটি প্রজেক্টের জন্য ক্লাসরুমে অভিনয় করেছিলেন।” কিন্তু মালাবদল, সিঁদুরদান প্রজেক্টের অংশ হলে এবং পুরো বিষয়টিই অভিনয় হলে বিভাগীয় প্রধানকে কেন ছুটিতে পাঠানো হল, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
আরও পড়ুন