মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাত দিনের জামিন পেলেন রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুন্ডু। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। ৯ অগস্ট থেকে সাত দিনের জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
মায়ের দেখভালের জন্য সম্প্রতি আদালতে জামিনের আবেদন করেন গৌতম। কিন্তু এখনও তাঁর বিরুদ্ধে যেহেতু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত করছে, তাই জামিন মঞ্জুর সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় আদালত। তার পরই অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানান গৌতম। শুক্রবার তা মঞ্জুর করে আদালত। তার জন্য নগদ ৫০ হাজার এবং ১০ হাজার টাকার দু’টি পৃথক সিকিয়োরিটি বন্ড জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ।
অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও, গৌতমের সঙ্গে সর্ব ক্ষণ দু’জন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ১৬ অগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় ফের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরে আসতে হবে গৌতমকে।
ইডি সূত্রের খবর, একটি ছাতার তলায় ২৭টি সংস্থা ফেঁদে বসেছিলেন গৌতম। তিন হাজারের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। ২০১৫ সালের গোড়ায় রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্তে নামে ইডি। চার বছর পরে সব হিসেব একত্র করে ইডি এখন জানতে পারছে, বাজার থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা তুলেছিলেন গৌতম। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, ত্রিপুরা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষকে বিভিন্ন প্রকল্পে শামিল করার প্রলোভন দেখিয়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকা তোলা হয়েছিল।
এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট লোকজনকে সুদ-সহ ফেরতও দিয়েছেন গৌতম। তাঁর গ্রেফতারির আগে তো বটেই, পরেও অনেকে টাকা ফেরত পেয়েছেন। বাকি প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকার মধ্যে দেড় হাজার কোটির কিছু বেশি মূল্যের সম্পত্তি প্রথমেই বাজেয়াপ্ত করে ইডি। বাজারদর ধরলে সেই মূল্য আরও কিছু বেশি হবে বলে তদন্তকারীদের ধারণা। কিন্তু বাকি সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না।