— প্রতীকী চিত্র।
আর জি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ পাঁচ অভিযুক্তের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক। সোমবার সন্দীপ, তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহ, দেহরক্ষী আশরফ আলি খান ও জুনিয়র চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কোর্টে পেশ করা হয়। সন্দীপ ও সুমনের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
সন্দীপের আইনজীবী ওয়াহাব রউফ বলেন, “সন্দীপকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। তদন্তে সহযোগিতাও করছেন।” সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “দুর্নীতির মূল চক্রী সন্দীপ। ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দুর্নীতি করে তা থেকে কাটমানি নিয়েছেন। টাকা নিয়ে অযোগ্য পড়ুয়াদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও আছে। সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর জামিন হলে সাক্ষীকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা আছে।” সুমনের আইনজীবী বলেন, “সুমন ব্যবসায়ী। দুর্নীতিতে জড়িত নন। আর জি কর-সহ বহু হাসপাতালের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক সম্পর্ক।” সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “সুমন দুর্নীতি চক্রের অন্যতম পান্ডা। টেন্ডার দুর্নীতির পুরোটাই সুমন নিয়ন্ত্রণ করতেন। সুমনের দুর্নীতিমূলক কাজের একাধিক সাক্ষী রয়েছে। তাঁর জামিন মঞ্জুর হলে তদন্ত ব্যাহত হবে।”